ঝিনাইদহ জেলা পরিষদের সদস্য মোরাদিম মোস্তাকিম মনিরের উপরে হামলা হয়েছে। শনিবার রাত ১০টার দিকে সদর উপজেলার সুরাট গ্রামে এই হামলার ঘটনা ঘটে। এ সময় নারিকেলবাড়িয়া পুলিশের কনস্টেবল আব্দুল মান্নান ও ঝিনাইদহ পৌরসভার কাউন্সিলর আরেফিন কায়সার আহত হন। ভাংচুর করা হয় দুইটি মটরসাইকেল। পুলিশের উপর হামলার ঘটনা নিয়ে রোববার জেলা আইনশৃংখলা কমিটির সভায় ওঠে এবং হামলার সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় আনার সিদ্ধান্ত হয়। জেলা পরিষদের সদস্য মেরাদিম মুস্তাাকিম মনির রোববার দুপুরে জানান, তিনি শনিবার রাত ৮টার দিকে সুরাট গ্রামের জলিল শেখের ছেলে উজ্জ্বল শেখের বাড়িতে দাওয়াত খেতে যান। ঘটনার সময় সুরাট গ্রামের মোশারেফ লস্কারের নেতৃত্বে কিছু লোক উজ্জ্বল শেখের বাড়ির চারপাশে ঘিরে ফেলে। অবস্থা বেগতিক দেখে মনির সদর থানার ওসি ও তার ভাই ঝিনাইদহ পৌরসভার কাউন্সিলর আরেফিন কাইসারকে মোবাইলে বিষয়টি জানালে নারিকেলবাড়ীয়া ক্যাম্প থেকে একদল পুলিশ মনিরকে উদ্ধারের জন্য ঘটনাস্থলে পৌছায়। অন্যদিকে আরেফিন কাইসার কয়েকটি মোটরসাইকেল নিয়ে সুরাট গ্রামে যান। পুলিশের সঙ্গে তারা রাত ১০টার দিকে বাড়ি ফেরার পথে সুরাট বাজারের তিন রাস্তার মোড়ে তাদের উপর হামলা চালানো হয়। মনির অভিযোগ করেন স্থানীয় চেয়ারম্যান আশরাফের ইন্ধনে এনামুল, মিথুন, রানা ও আনোয়ার হামলায় অংশ নেয়। হামলায় পুলিশ কনস্টেবল আব্দুল মান্নান ও আরেফিন কাইসার আহত হন। সুরাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আশরাফ হোসেন বলেন, মনির লোকজন সাথে নিয়ে এলাকায় গিয়েছিলেন। হামলার কোন ঘটনাই ঘটেনি। তবে পুলিশ আহত হয়েছে কিনা আমার জানা নেই। তিনি এই হামলার সঙ্গে মোটেও জড়িত নয়। ঝিনাইদহ পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আরেফিন কাইসার বলেন, জনপ্রতিনিধি ও পুলিশের উপর হামলার ঘটনা খারাপ নজীর। এই ঘটনায় আমি, একজন পুলিশ সদস্যসহ কয়েকজন আহত হয়েছেন। ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি শেখ মোহাম্মদ সোহেল রানা বলেন, জেলা পরিষদের সদস্য মনিরের উপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় একজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে। তিনি এখন সদর হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। রোববার দুপুর পর্যন্ত কোন মামলা হয়নি। তবে মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানান।
ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট