অপচিকিৎসায় আবারো ঝিনাইদহে এক প্রসূতী মায়ের মৃত্যু। ভূয়া ক্লিনিকগুলোর কারনে থামছেই না মৃত্যুর মিছিল। এক সপ্তাহের ব্যাবধানে ভুল চিকিৎসার বলি হলেন তিন জন।
ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার খালিশপুর বজরাপুরে অবস্থিতি গ্রামীন প্রাইভেট হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে আবারো ভুল চিকিৎসায় অপারেশন থিয়েটারেই মৃত্যু হলো প্রসূতি মায়ের।
জানা যায় বজরাপুর গ্রামের মোঃ রাছেলের স্ত্রীর মোছাঃ বিথী খাতুন সিজার করার জন্যে ভর্তি হন।
সন্ধা ৭:৩০ মিনিটের দিকে একটি ছেলে সন্তান জন্ম হয় কিন্তু বিথী খাতুনের অপারেশন থিয়েটারের মধ্যেই মৃত্যু হয়।
কিন্তু হাসপাতালের মালিক জুলফিকার বিষয়টি বুঝতে পেরে তড়িঘড়ি করে একটি এ্যম্বুলেন্স ডেকে মৃত লাশ সহ দুই জন ভুয়া ডাক্তারকে যশোরের উদ্দেশ্য নিয়ে যায়,পথিমধ্যে ভুয়া দুইজন ডাক্তার মাসুদ রানা ও তার সহকর্মি কোটচাঁদপুরে নেমে পালিয়ে যায়।
অন্যদিকে মৃত বিথী খাতুনের লাশ নিয়ে চৌগাছা পর্যন্ত যেয়ে একটি ফার্মেসিতে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে ফিরে আসে। এবং রাতের আধারে কোনো রকম ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশ দাফন করা হয়।
এদিকে স্থানীয় জনগণ অভিযোগ করে বলেন জুলফিকারের এই ভুয়া ক্লিনিকে এমন অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যু প্রায়ই ঘটে,কিন্তু জুলফিকার সব সময়ই ভুক্তভোগী পরিবারের লোকজনকে টাকা দিয়ে ম্যানেজ করে আসছেন।
সরেজমিনে দেখা যায় মহেশপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ও এক জন ম্যাজিষ্ট্রেট এসে মাত্র পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করেন এবং ক্লিনিকের ওটি সিলগালা করে রাখেন। এছাড়াও দেখা যায় ক্লিনিকে জুলফিকারের লালিত কিছু দালাল রয়েছেন যারা এই ধরনের অপকর্ম ঢাকতে কাজ করে থাকেন।
স্থানীয় জনগণের দাবি খালিশপুর বজরাপুরের জুলফিকারের এই ভুয়া ক্লিনিকটি স্থায়ী ভাবে বন্ধ ঘোষণা করা হোক, অন্যথায় এভাবে নিয়মিত ঘটতে থাকবে প্রসূতি মায়েদের করুন মৃত্যু।।
অনতিবিলম্বে ঝিনাইদহের ভুয়া ভুঁইফোড় ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার গুলো বন্ধ করা হোক। সেই সাথে বজরাপুরের ভুয়া ক্নিনিক মালিক জুলফিকারের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হোক।।