এ বছর এটাই এক দিনে হাসপাতালে ভর্তি সর্বোচ্চসংখ্যক রোগী। একই সময় মারা গেছে পাঁচজন। এই নিয়ে চলতি বছর এ পর্যন্ত মোট মৃত্যু ৮৮ জন। হাসপাতালে মোট ভর্তি ১৬ হাজার ১৪৩ জন।
সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ বিভাগের সাবেক পরিচালক অধ্যাপক বে-নজির আহমেদ বলেন, ‘সংজ্ঞা অনুযায়ী ডেঙ্গু পরিস্থিতি এখনো পুরোপুরি মহামারি পর্যায় যায়নি। তবে এটি মহামারির কাছাকাছি। যদি আরো বেড়ে যায়, তাহলে এটাকে আমরা মহামারি বলব।’
যেমন এবার ঢাকার বাইরে যে ডেঙ্গু পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, সেটা আমরা আশা করিনি। এটা হলো মহামারিরই নামান্তর। আবার কোনো জায়গায় কখনো কারো ডেঙ্গু হয়নি, কিন্তু সেখানে যদি একটি লোকের ডেঙ্গু হয়, তাহলেও সেটা মহামারি। এর বাইরে আরেকটা হলো, যদি কোনো একটা নিদিষ্ট জায়গায় গত পাঁচ বছরের তুলনায় গড়ে ডেঙ্গু অনেক বেশি হয়, তাহলেও সেটিকে আমরা মহামারি বলব।’
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মুখপাত্র অধ্যাপক ডা. রোবেদ আমিন বলেন, ‘ডেঙ্গু পরিস্থিতি আমাদের দেশে এখন এন্ডামিক পর্যায়ে আছে। অর্থাৎ রোগটা সারা বছর থাকবে কিন্তু মৌসুমে বাড়বে। তখন হাসপাতালে হাজার হাজার রোগী ভর্তি হবে। আবার কমে আসবে। যেটি আমাদের দেশে কয়েক বছর ধরে চলছে।’
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ এক সংবাদ সম্মেলনে ডেঙ্গুর বর্তমান পরিস্থিতিকে ‘জনস্বাস্থ্য সংকট’ ঘোষণা করে জরুরি ভিত্তিতে সমন্বিত রোডম্যাপ ও বাস্তবায়নের আহ্বান জানিয়েছে।
দেশে ডেঙ্গুতে এক দিনে আরো পাঁচজনের মৃত্যুতে জুলাইয়ের প্রথম ১২ দিনে মৃতের সংখ্যা ৪১ জনে পৌঁছাল। একই সময় মোট ভর্তি আট হাজার ১৬৫ জন। গত এক দিনে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে এক হাজার ২৪৬ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, গতকাল সকাল পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের ৭০৯ জন ঢাকার ও ঢাকার বাইরে ৫৩৭ জন। মারা যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে চারজন ঢাকার ও একজন রাজশাহীর। নতুন ভর্তি রোগীদের নিয়ে বর্তমানে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি তিন হাজার ৭৯১ জন। এর মধ্যে ঢাকায় দুই হাজার ৫৩০ জন ও ঢাকার বাইরে বিভিন্ন হাসপাতালে এক হাজার ২৬১ জন।