অন্য দাবিগুলো হচ্ছে মজুরি কাঠামোতে গ্রেডসংখ্যা ৭টি থেকে কমিয়ে ৫টিতে নামিয়ে আনা, ইপিজেড ও তার বাইরের কারখানার শ্রমিকদের প্রতিবছর মূল মজুরির ১০ শতাংশ ইনক্রিমেন্ট প্রদান ও ভবিষ্য তহবিল চালু, স্থায়ীভাবে রেশনিং চালু করা, শ্রমিক ও শিল্পের স্বার্থে গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম কমিয়ে সরবরাহ নিশ্চিত করা ইত্যাদি।
গার্মেন্ট শ্রমিক সংহতির সভাপ্রধান তাসলিমা আখতারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই শ্রমিক সমাবেশে বক্তব্য দেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, আইনজীবী জ্যোতির্ময় বড়ুয়া, ট্রেড ইউনিয়ন ফেডারেশনের সংগঠক সোহেলা রুমী, গার্মেন্ট শ্রমিক সংহতির সাধারণ সম্পাদক বাবুল হোসেন, গার্মেন্ট শ্রমিক সংহতির রানা প্লাজা শাখার সংগঠক রুপালি আক্তার প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, মজুরি বৃদ্ধির দাবি এলেই মালিকপক্ষ অভাব-অনটনের কথা বলে। অথচ মালিকের সামর্থ্য নেই কিংবা ক্রয়াদেশ কম, এসব অজুহাতের পাল্টা তথ্য সরকারি সংস্থাই দিচ্ছে। বিদায়ী অর্থবছরে তৈরি পোশাক রপ্তানি বেড়েছে ১০ শতাংশ। নতুন বাজারে পোশাক রপ্তানি বেড়েছে ৩১ শতাংশ।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, বিশ্ববাজারে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাত সুনাম কুড়ালেও ‘সস্তা’ শ্রমিকের পরিচয় ঘোচাতে পারেনি। শ্রমিকেরা পারেননি দারিদ্র্যসীমা অতিক্রম করতে। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, চার সদস্যের একটি পরিবারের বেঁচে থাকতে মাসে ৪৪ থেকে ৪৭ হাজার টাকার প্রয়োজন। অথচ শ্রমিকেরা মাত্র ২৫ হাজার টাকা দাবি করেছেন।
শ্রম মন্ত্রণালয় গত এপ্রিলে তৈরি পোশাকশিল্পের শ্রমিকদের জন্য নতুন মজুরি বোর্ড গঠন করে। সেই বোর্ড গত তিন মাসে একটি সভা করেছে। সময়ক্ষেপণ না করে নতুন মজুরি কাঠামো চূড়ান্ত করার দাবি জানান বক্তারা।