ভর্তুুকি মুল্যের টিসিবি পন্য বিতরণ না করে পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে মামুন এন্টারপ্রাইজের সত্বাধিকারী মামুনের বিরুদ্ধে। রোববার সকালে জেলা প্রশাসক এসএম রফিকুল ইসলাম শহরের ৪ নং ওয়ার্ডের পুলিশ লাইনস পাড়ায় এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। বেলা চারটা পর্যন্ত টিসিবির মালামাল বিতরণের কথা থাকলেও ডিলার মামুন দুইটা পর্যন্ত বিতরণ করে প্রায় ২৮০ প্যাকেট টিসিবি পন্য সরিয়ে সেগুলো পাশ্ববর্তী মাসুদের দোকানে রেখে পালিয়ে যায়। স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর আরেফিন কায়সার অভিযোগ করেন, সারা দেশের ন্যয় ঝিনাইদহে দরিদ্র পরিবারের মধ্যে স্বল্পমূল্যে টিসিবি’র খাদ্যপণ্য পণ্য বিতরণ শুরু হয়। সকালে জেলা প্রশাসক বিতরন কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। এ সময় সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাদিয়া জেরিন, জেলা তথ্য অফিসার আবু বক্কর সিদ্দিক, টিসিবি’র সহকারী পরিচালক আতিকুর রহমান ও জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক হাসান মিয়া উপস্থিত ছিলেন। আরেফিন কায়সার আরা জানান, শুরুতে সব কিছু ঠিক ঠাক থাকলেও বেলার বাড়ার সাথে সাথে অনিয়মরে অভিযোগ ওঠে। বেলার ২ টার দিকে ট্যাংকি পাড়ার আমিরুল ইসলাম টিসিবির পণ্য কিনতে গিয়ে ফিরে আসেন। তিনি বিষয়টি ওর্য়াড কাউন্সিলরকে জানালে ২৮০ প্যাকেট টিসিবি পন্য গায়েব করার খবরটি জানাজানি হয়ে পড়ে। হামদহ পূর্বপাড়ার মাসুম অভিযোগ করেন, টিসিবি পণ্য আনতে গিয়ে তিনিও ফিরে আসেন। ডিলারের কর্মচারীরা তাকে জানান মাপার মেশিনে সমস্যা হচ্ছে বলে দেয়া সম্ভব হচ্ছে না। এক পর্যায়ে তারা সব পন্য শেষ হয়ে গেছে বলে ঘোষনা দেয়। কাউন্সিলরের দেয়া তথ্যমতে, সরজমিন পরিদর্শন করে জানা যায়, টিসিবির পণ্য বিতরনের জায়গা সংকট হওয়ায় আগের স্থান শিশু একাডেমি থেকে সরিয়ে হামদহ পুলিশ লাইন্স এর বিপরীত পাশে দ্বীন মোহাম্মদ এন্ড সন্স এর সত্বাধিকারী মাসুদের দোকানে দেওয়া হচ্ছিল। এ বিষয়ে আরেক ভুক্তভোগি হামদহ পূর্ব পাড়ার রেজা জানান, তিনি বিকাল ৪ টার দিকে কার্ড নিয়ে পণ্য আনতে গিয়ে দেখেন দোকান বন্ধ। এ বিষয়ে ৪ নং ওর্য়াডের কাউন্সিলর আরেফির কায়সার জানান, রোববার ৪ নং ওর্য়াডে টিসিবির পন্য বিতরন করছিলেন ডিলার মামুন। তিনি বেলা দুইটার দিকে পন্য বিতরণ বন্ধ করে দেন। আমি সরজমিন গিয়ে এর সত্যতা পেয়েছি। ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি কালোবাজারে বিক্রির জন্য ২৮০ প্যাকেট টিসিবির পন্য পাশের ঘরে লুকিয়ে রাখা হয়েছে। ডিলার মামুনের সাথে মুঠোফোনে বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে একাধিকবার ফোন করা হরেও তিনি ফোন ধরেননি। দ্বীন মোহাম্মদ এন্ড সন্স এর স্বত্তাধিাকরী মাসুদুল করিম বলেন, আমার দোকনে টিসিরি পণ্য আছে তাতে সাংবাদিকের সমস্যা কোথায়? তিনি জানান, এটা বিতরনের জন্যই রাখা হয়েছে। এ বিষয়ে টিসিবির সহকারী পরিচালক আতিকুর রহমান জানান, টিসিবির পণ্য বিতরনে অনিয়মের বিষয়টি শুনেছি, তদন্ত সাপেক্ষে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। তিনি বলেন, বিষয়টি জেলা প্রশাসক ও ইউএনওকে জানানো হয়েছে। ঘটনা প্রমানিত হলে তার লাইসেন্স বাতিল করা হবে বলেও তিনি জানান। উল্লেখ্য জেলার ৬ উপজেলায় ৪৩ জন ডিলারের মাধ্যমে ১ লাখ ২০ হাজার ১৩৩ জন ফ্যামিলি কার্ডধারী নিম্ন আয়ের পরিবারের মাঝে এসব পণ্য বিক্রি করা হচ্ছে। প্রতিটি ফ্যামিলি কার্ডে ৪৭০ টাকায় ২ কেজি মসুরের ডাল ও ২ লিটার সয়াবিন তেল ও ৫ কেজি চাল মিলবে।
ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট