ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলার দুই নং দোড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল জলিলের নামে শুরু থেকেই অভিযোগের পাহাড় জমেছে।
ইউনিয়ন পরিষদের অর্থ লুটপাট, অতি দরিদ্রদের কর্মসূচির টাকা লুটপাটের কারনে ইতিপূর্বে শ্রমিকেরা তার নামে মামলা করতে চেয়েছেন,পরিষদে বিচার সালিশের নামে চাদাবাজি করাই, কোটচাঁদপুর মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন এক ভুক্তভোগী।
চেয়ারম্যান আব্দুল জলিল যেনো দুর্নীতি অনিয়মের রোল মডেলে পরিনত হয়েছে, ১৭ই সোমবার দুপুরে দোড়া ইউনিয়ন পরিষদের ১১ জন ইউপি সদস্য বিভিন্ন দুর্নীতি অনিয়মের অভিযোগ করে লিখিত দেন কোটচাঁদপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উমেন-মের নিকট।
তারা অভিযোগ পত্রে লিখিত আকারে বলেন,আমরা নিম্নস্বাক্ষরকারীগণ জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত হয়ে ০৩/০১/২০২২ ইং তারিখে শপথগ্রহণ পূর্বক ২নং দোড়া ইউনিয়নের বিভিন্ন ওয়ার্ডে জনসাধারণের খেদমতে কাজ করে আসছি। কিন্তু আমাদের চেয়ারম্যান জনাব মোঃ আব্দুল জলিল বিশ্বাস সম্পূর্ণ এককভাবে স্বেচ্ছাচারিতার
মাধ্যমে উপজেলা বিভিন্ন প্রকল্প ও কার্যক্রম পরিচালনা করিতেছেন। উক্ত চেয়ারম্যান সাহেব শপথ গ্রহণের পর থেকেই তার খেয়াল খুশিমত ইউনিয়ন পরিষদের কাজ করতে থাকে এবং তিনি নিয়মিত মাসিক সভা করেন না, যদিও সভা করেন কিন্তু সিদ্ধান্তের পূর্বেই জোর পূর্বক রেজুলেশন খাতায় সহি করিয়ে নেন। সভার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত গ্রহণের সিদ্ধান্ত থাকলেও তিনি নিয়মের তোয়াক্কা না করে নিজ ইচ্ছায় প্রকল্প গ্রহণ করেন এবং কমিটি প্রদান করেন। কমিটির কারও স্বাক্ষর গ্রহণ না করে জালিয়াতির মাধ্যমে বিল উত্তোলন ও আত্মসাৎ করেন। ইউপি চেয়ারম্যান নিজে বিভিন্ন ভূয়া অদৃশ্যমান প্রকল্প দিয়ে টাকা আত্মসাৎ করেন। এ বিষয়ে তাকে বোঝানোর চেষ্টা করলে তিনি হুমকি ধামকি দেওয়ায় এবং পরিষদে আসতে নিষেধ করায় পরিষদের সকল ইউপি সদস্য একযোগে ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ২০/০৪/২০২২ইং ইং তারিখে অনাস্থা প্রস্তাব প্রদান করিয়া প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আপনার নিকট সবিনয় আবেদন করিয়াছিলাম। উক্ত আবেদনের প্রেক্ষিতে আপনার মাধ্যমে ইউপি চেয়ারম্যান আমাদের সহিত একটি আপোষ করেন। উক্ত আপোষনামায় তিনি সকলে মিলেমিশিয়া ইউনিয়নের সকল কার্যক্রম পরিচালনার জন্য একটি লিখিত অঙ্গীকারনামা করেন। তারপর বছর ঘুরতে না ঘুরতেই ইউপি চেয়ারম্যান সাহেব পূর্বের ন্যায় কার্যক্রম শুরু করেছেন।
আপনার সদয় অবগতির জন্য আমরা ইউপি সদস্যগণ সংযুক্তি পাতায় তার কিছু বিবরণ প্রদান করিলাম। অতএব, জনাব সমীপে আকুল আবেদন বিষয়টি সদয় বিবেচনা করিয়া ২নং দোড়া ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণে আপনার সদয় মর্জি হয়।
২নং দোড় ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচিত যে সকল ওয়ার্ড সদস্যবৃন্দ যারা সবাই একমতাবলম্বী হয়েছেন: ১। মোছাঃ হাসিনা খাতুন,সংরক্ষিত ১,২,৩ ওয়ার্ড সদস্য, ২নং দোড়া ইউপি ২। মোছাঃ জল্পনা খাতুন সংরক্ষিত ৪,৫,৬ ওয়ার্ড সদস্য, ২নং দোড়া ইউপি ৩। মোঃ জিল্লুর রহমান ১নং ওয়ার্ড সদস্য, ২নং দোড়া ইউপি ৪। মোঃ জনি ২নং ওয়ার্ড সদস্য, ২নং দোড়া ইউপি ৫। মোঃ সবুজুর রহমান ৩নং ওয়ার্ড সদস্য, ২নং দোড়া ইউপি ৬। মোঃ জুলহক ৪নং ওয়ার্ড সদস্য, ২নং দোড়া ইউপি ৭। মোঃ রোকন উদ্দীন ৫নং ওয়ার্ড সদস্য, ২নং দোড়া ইউপি ৮। মোঃ শাহাজুল ইসলাম ৬নং ওয়ার্ড সদস্য, ২নং দোড়া ইউপি ৯। মোঃ আশরাফুল আলম ৭নং ওয়ার্ড সদস্য, ২নং দোড়া ইউপি ১০। মোঃ আমিনুর রহমান ৮নং ওয়ার্ড সদস্য,২নং দোড়া ইউপি ১১। মোঃ বাবুল রহমান ৯নং ওয়ার্ড সদস্য।
এই বিষয়ে কোটচাঁদপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উসেন-মের সাথে কথা হলে তিনি জানান, দোড়া ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচিত মেম্বারা চেয়ারম্যান আব্দুল জলিল বিশ্বাসের নামে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট