আজ বুধবার সন্ধ্যা ৭টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির (বিটিএ) আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষক নেতারা এ ঘোষণা দেন। এদিন দুপুর সাড়ে ৩টায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে শিক্ষক নেতাদের বৈঠক শেষে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
বিটিএ সাধারণ সম্পাদক শেখ কাওছার আহমেদ বলেন, ‘শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে ফলপ্রসূ কোনো সিদ্ধান্ত পাওয়া যায়নি।
দাবি আদায়ের বিষয়ে আমরা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে অন্তত এক মিনিটের জন্য সাক্ষাৎ করতে চাই। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন কর্মসূচি চলমান থাকবে।’
কাওছার বলেন, ‘জাতীয়করণ ছাড়াও আমাদের অন্যতম দাবিগুলোর মধ্যে ছিল বেতন-ভাতা, উৎসব বোনাস, বাড়ি ভাড়া ও চিকিৎসা খাতে নামমাত্র যে অর্থ দেওয়া হয় তা বাড়াতে হবে। শিক্ষামন্ত্রী এসব বিষয়ে স্পষ্ট কোনো সমাধান দেননি।
শিক্ষার মান বৃদ্ধি ও আর্থিক সংশ্লিষ্টতা বিষয়ে দুটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠনের কথা বলেছেন। সেই কমিটিতে আমাদের শিক্ষক নেতাদের অংশগ্রহণের দাবি জানালে তিনি তা প্রত্যাখ্যান করেন।’
জাতীয়করণের দাবিতে বুধবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে শিক্ষকদের নবম দিনের লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি পালিত হয়েছে। শিক্ষকদের উপস্থিতিতে সকাল ১০টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের উভয় পাশে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
এ সময় শিক্ষকরা কদম ফোয়ারা থেকে শুরু করে গুলিস্তান মোড় পর্যন্ত অবস্থান নিতে শুরু করেন।
এ সময় পুলিশের সঙ্গে শিক্ষকদের ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটে। এক পর্যায়ে সেখান থেকে সরে দাঁড়ান আন্দোলনরত শিক্ষকরা। তবে সন্ধ্যা পর্যন্ত প্রেস ক্লাবমুখী সড়কে যান চলাচল বন্ধ ছিল।
এর আগে ১১ জুলাই থেকে অবস্থান কর্মসূচি শুরু হলেও ১৩ জুলাই থেকে সারা দেশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে তালা ঝুলিয়ে এই কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন বেসরকারি মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষকরা।