বুধবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের দাবীতে বিএনপির পদযাত্রা কর্মসূচীতে এই শ্লোগান দেয় বিএনপির নেতাকর্মীরা। কেন্দ্রীয় কর্মসূচীর অংশ হিসেবে ঝিনাইদহ জেলা বিএনপি এই পদযাত্রা কর্মসুচির আয়োজন করে। ২০১৮ সালের পর এটিই বিএনপির সবচে বড় শোডাউন। বুধবার সকাল থেকে ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবের সামানে জেলার ৬ উপজেলা থেকে শত শত নেতাকর্মীরা আসতে থাকে। বেলা ১১টার দিকে ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবের সামনে থেকে বিএনপি সভাপতি এ্যাডভোকেট এম এ মজিদের নেতৃত্বে বিরাট মিছিল শুরু হয়। মিছিলে বিএনপি ও তার অঙ্গসংগঠনের কয়েক হাজার নেতাকর্মী অংশ নেয়। পদযাত্রাটি শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে পায়রা চত্বর ঘুরে আরাপপুরে গিয়ে শেষ হয়। পদযাত্রা শেষে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটি খুলনা বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক জয়ন্ত কুমার কুন্ডু, কেন্দ্রীয় নেতা মীর রবিউল ইসলাম লাভলু, জেলা বিএনপির সভাপতি এ্যাড. এম এ মজিদ, সাধারণ সম্পাদক জাহিদুজ্জামান মনা, কৃষকদল নেতা আনোয়ারুল ইসলাম বাদশা, বিএনপি নেতা এ্যাডভোকেট মুন্সি কামাল আজাদ পাননু, আব্দুল মজিদ বিশ্বাস, মাহবুবুর রহমান শেখর, আলমগীর হোসেন আলম, সাজেদুর রহমান পাপপু, শাহজাহান আলী, কালীগঞ্জের আব্দুল হামিদসহ জেলা উপজেলার নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন। পদযাত্রা শেষে এক সমাবেশে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটি খুলনা বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক জয়ন্ত কুমার কুন্ডু বর্তমান সরকারকে অবৈধ দাবী করে দ্রুত নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের দাবী জানান। তিনি বলেন, এ সরকার ভোট চোর হিসেবে বিশেষ পরিচিত হয়েছে। হিরো আলমের মতো সামান্য ইউটিউবারকে ভয় পায় ফ্যাসিষ্ট হাসিনা। এই জন্য তাকে মারধর করে আরাফাতের জন্য ময়দান খালি করেছে। ঝিনাইদহ জেলা বিএনপির সভাপতি এ্যাড. এম এ মজিদ বলেন, জনতার সাগরে জেগেছে উর্মি। পালানোর আর কোন রাস্তা নেই। হাসিনা ও তার দুর্নীতিবাজ এমপি মন্ত্রীদের পদত্যাগে বাধ্য করবে দেশের জনগন। তিনি বলেন, যুবদল নেতা লিটনকে যারা পঙ্গু বানিয়েছে তাদের রক্ষা নেই। অচিরেই তাদের মোকাবেলা করা হবে।
ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট