আজ রবিবার বিকেল তিনটায় গণসাক্ষরতা অভিযান এর আয়োজনে ঢাকাস্থ ইউসেপ বাংলাদেশের সেমিনার হলে “স্কুল মিল বিষয়ে অংশীজনদের সঙ্গে মতবিনিময় ” সভা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সভায় সভাপতিত্ব করেন গণসাক্ষরতা অভিযান এর নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে চৌধুরী। সভায় অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সাবেক মূখ্য সচিব ও ইউসেপ বাংলাদেশ এর নির্বাহী পরিচালক ড. আব্দুল করিম, পরিকল্পনা কমিশনের শিক্ষা উইংয়ের প্রধান যুগ্মসচিব রাহনুমা নাহিদ, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিকল্পনা ও উন্নয়ন উইংয়ের পরিচালক ড. একিউএম শফিউল আজম, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিকল্পনা ও উন্নয়ন বিভাগের পরিচালক মিজানুর রহমান, স্কুল ফিডিং প্রোগ্রামের প্রকল্প পরিচালক এস এম আনসারুজ্জামান এবং এএসপিবিএই এর ক্যাপাসিটি সাপোর্ট এন্ড অ্যাডভোকেসি অ্যাডভাইজার কে এম এনামুল হকসহ অন্যান্যরা। অনুষ্ঠানে বিষয়ের উপর আলোচনার আলোকপাত করেন গ্লোবাল স্কিলস ডেভেলপমেন্ট এজেন্সির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা গবেষক ইব্রাহিম হোসেন। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন গণসাক্ষরতা অভিযান এর উপ-পরিচালক তপন কুমার দাশ। উক্ত মতবিনিময় দেশি-বিদেশি সরকারি -বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থা, প্রতিষ্ঠান এবং উন্নয়ন সহযোগী সংগঠনের ৬০ জন প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।
সভায় বিশেষজ্ঞ বক্তারা স্কুল মিল বিষয়ে তাঁদের মতামত প্রদান করেন। বক্তারা বলেন, স্কুল মিল মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর একটি প্রতিশ্রুত শিশুবান্ধব উদ্যোগ। এর ফলে ঝরে পড়া রোধ করা সম্ভব হবে, পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে এবং একই সাথে স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত কৃষিপণ্যের সদ্ব্যবহার করা সম্ভব হবে। যেহেতু স্কুল মিল খুবই স্পর্শকাতর বিষয় সেহেতু এর ম্যানেজমেন্টে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার নিশ্চিতের পাশাপাশি প্রয়োজন স্থানীয় কমিউনিটির প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সম্পৃক্ততা। এব্যাপারে সচেতনতা সৃষ্টিতে স্থানীয় জনগণকে সম্পৃক্ত করতে সরকারের পাশাপাশি এনজিওরা তাঁদের দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখতে পারে। এছাড়াও বিভিন্ন দেশি বিদেশি দাতা সংস্থার পাশাপাশি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও উদ্যোক্তারা সিএসআর এর অংশ হিসেবেও স্কুল মিলের তহবিল সংগ্রহে স্থানীয় ও জাতীয়ভাবে ভূমিকা রাখতে পারে। এব্যাপারে ভারতের মত এডুকেশন সারচার্জের কথা সরকার চিন্তা করতে পারে যেমনটি যমুনা সেতু নির্মাণের সময় করা হয়েছিল। কেননা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যে শিশুরা পড়াশোনা করছে তারা আমাদের সকলের সন্তান।
স্কুল মিল বিষয়ে সর্বোপরি জিও এবং এনজিও একসাথে কাজ করতে পারে বলে মত দেন বক্তারা। উল্লেখ্য, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে নতুন পাশ হওয়া বাজেটে ২০২৩ থেকে ২০২৬ সাল পর্যন্ত স্কুল মিল প্রকল্প চালুর ঘোষণা দেয় সরকার বাজেট বক্তৃতার সময়। একসাথে সারাদেশে শুরু না হলেও পর্যায়ক্রমে সারাদেশের প্রাথমিকের স্কুলগুলোতে স্কুল মিল চালু করতে যাচ্ছে সরকার।
ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট