তিনি বলেছেন, আজকে স্বাধীনতার যে সুফল আমরা ভোগ করছি, এর পেছনে অনেকের রক্ত-আত্মত্যাগ রয়েছে। কিন্তু সঠিক তালিকা না থাকায় তাদের স্মরণটুকু আমরা করতে পারি না। তাই শহীদদের সঠিক তালিকা প্রণয়ন হওয়া উচিত। মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) সুপ্রিম কোর্টের মূল ভবনে স্থাপিত মুক্তিযুদ্ধ কর্নারের বর্ধিত অংশ উদ্বোধনে প্রধান বিচারপতি এসব কথা বলেন।
প্রধান বিচারপতি বলেন, আমাদের মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানা প্রয়োজন। ১৯৭১ সালে আমাদের মাটিতে যে বর্বরতা হয়েছে, তাতে ৩০ লক্ষ মানুষ শহীদ হয়েছেন। দুই লক্ষ মা-বোন ইজ্জত হারিয়েছেন।
তিনি বলেন, আপনারা হয়তো অনেকেই জানেন, ১৯৭১ সালে রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলায় ঝাড়ুয়ার বিলে দুই তিন ঘণ্টার ভেতর প্রায় ১২ শ লোককে হত্যা করা হয়, এই ইতিহাস কেউ জানে না। সেখানে কোনো স্মৃতিসৌধ রয়েছে কি-না, সেটাও আমরা জানি না। অথচ ওইসব শহীদদের রক্তেই আমরা সুফল ভোগ করছি। একইভাবে খুলনার চুকনগরেও একই দিনে প্রায় ১২ হাজার মানুষকে হত্যা করা হয়েছে।
সেখানে না থাকার মতো একটি স্মৃতিস্তম্ভ রয়েছে। ওই স্তম্ভে সেদিনের গণহত্যায় নিহত অনেক শহীদেরই নাম নেই। তাই চুকনগর ও ঝাড়ুয়ার বিলের মতো গণহত্যায় শহীদদের সঠিক তালিকা তৈরি করতে আমি ইতিহাসবিদ-গবেষকদের প্রতি অনুরোধ করব। আর সংশ্লিষ্টদের অনুরোধ করব স্মৃতিস্তম্ভ তৈরি করে সেখানে শহীদদের নাম লিখতে।
উদ্বোধন অনুষ্ঠানে আপিল বিভাগের বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, বিচারপতি বোরহান উদ্দিন, বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম, বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম, বিচারপতি মো. আবু জাফর সিদ্দিকী, বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন, সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. গোলাম রব্বানী, আপিল বিভাগের রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ সাইফুর রহমানসহ সুপ্রিম কোর্টের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।