ঝিনাইদহ স্পেশাল মামলা নং ০১|২০২৩ এর আসামী দুদকের তদন্তাধীন মনোজ কান্তি বিশ্বাস কে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব প্রদান করা হয়েছে।
জেষ্ঠ্যতা লংঘন করে ঝিনাইদহের কালিগঞ্জ সরকারি মাহতাব উদ্দিন কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে কারিগরি অধিদপ্তরের ইনডেক্সধারী মনোজ কান্তি বিশ্বাসকে দায়িত্ব দিয়েছে মাউশি অধিদপ্তর। উক্ত কলেজের সিনিয়র শিক্ষক রসায়ন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোশাররফ হোসেন এবং দ্বিতীয় অবস্থানে আছেন গণিতের সহকারী অধ্যাপক সাজ্জাদ হোসেন ও তৃতীয় অবস্থানে আছেন মনোজ কান্তি বিশ্বাস।বিধি অনুযায়ী প্রথম ও দ্বিতীয় জন লিখিত ভাবে দায়িত্ব পালনে অপারগতা প্রকাশ করলে তৃতীয় জনকে দায়িত্ব দেওয়া যেতে পারে।সেটাও প্রতিপালন না করে অসৎ উদ্দেশ্যে পারস্পরিক যোগসাজশে বিধিবহির্ভূত ভাবে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব প্রদান করেছেন। জানা যায়, কলেজের অধ্যক্ষ ড. মাহবুবুর রহমান ০৭/০৮/১৯ তারিখ থেকে ২৭/০৭/২৩ তারিখ পর্যন্ত স্বপদে বহাল থাকা স্বত্বেও এবং মহামান্য সুপ্রিম কোর্টের ৩২৫২/২৩নং মামলার আদেশ থাকা অবস্থায় তার স্বাক্ষরিত শিক্ষক / কর্মচারীদের বিগত ছয় মাসের বেতন ভাতার বিলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইসরাত জাহান প্রতিস্বাক্ষর করেননি।ইউএনও তিন তিনবার নানা অজুহাতে বেতন বিল ফেরত দিয়ে আদালতের আদেশ অবমাননা করেছেন বলে অভিযোগ করেন কলেজের সাময়িক বরখাস্ত অধ্যক্ষ ড, মাহবুবুর রহমান।অন্যদিকে মনোজ কান্তি বিশ্বাস বিগত ছয়মাস যাবৎ খুটোর জোরে চেয়ার দখলে নিয়ে ছাত্র / ছাত্রীদের টিউশন ফিস ও ফরম পূরণের প্রায় বিশ লক্ষ টাকা ব্যাংকে জমা না দিয়ে হাতে গচ্ছিত রেখে ইচ্ছে মত তছরুপ করেছেন।সূত্র মতে তিনি মাউশি অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে চেয়ার পাকা পোক্ত করেছেন।এ বিষয়ে কলেজের সাময়িক বরখাস্ত কৃত অধ্যক্ষ ড. মাহবুবুর রহমান বলেন-কেউ আইনের উর্ধ্বে নয়।সকল অন্যায়,অপকর্ম ও দূর্নীতির জবাব আইনী প্রক্রিয়ায় দেওয়া হবে।
২৭|০৭|২০২৩ তারিখে স্বারক নং ৩৭. মোতাবেক মাউশি অধিদপ্তর,ঢাকার সহকারী পরিচালক ( কলেজ -২) তানভীর হাসান স্বাক্ষরিত ঝিনাইদহ স্পেশাল মামলা নং ০১|২০২৩ এর আসামী মনোজ কান্তি বিশ্বাস কে জেষ্ঠ্যতা লংঘন করে অসৎ উদ্যেশে ক্ষমতার অপব্যাবহার পুর্বক ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট