আমাদের দাবির প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সমর্থন রয়েছে। এ জন্যই তিনি জাতীয়করণের লক্ষ্যে দুটি কমিটি গঠন করে দিয়েছেন। এখন আমরা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে শর্তহীন পাঁচ মিনিটের সাক্ষাৎ চাই। আজকের (গতকাল) মধ্যেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাক্ষাৎ না পেলে মঙ্গলবার থেকে কাফনের কাপড় পরে আমরণ অনশনে যাব।
তিনি বলেন, ‘আমরা অনেক অবহেলিত। সরকারি স্কুলে আমাদের সমকক্ষ শিক্ষকরা একই কাজ করে যে উৎসব ভাতা, বাড়িভাড়াসহ আনুষঙ্গিক বেতন-ভাতা পান, তার অর্ধেকও বেসরকারি স্কুলের শিক্ষকদের দেওয়া হয় না। তাই সরকারি-বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীদের মধ্যে আর্থিক সুবিধাসহ সব ক্ষেত্রে বৈষম্যের নিরসন চাই আমরা।’
আন্দোলনে সভাপতির বক্তব্যে সংগঠনটির সভাপতি অধ্যক্ষ বজলুর রহমান মিয়া বলেন, ‘একই কারিকুলামের অধীনে একই সিলেবাস, একই একাডেমিক সময়সূচি, একইভাবে প্রশ্নপত্র প্রণয়ন ও উত্তরপত্র মূল্যায়নের কাজে নিয়োজিত থেকেও আর্থিক সুবিধার ক্ষেত্রে সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের মধ্যে বৈষম্য রয়েছে।
এবার দাবি আদায় না করে আমরা ফিরব না।’ তিনি বলেন, ‘আমরা আশা করছি, প্রধানমন্ত্রীর তরফ থেকে আজকেই (গতকাল) আমরা কোনো সুখবর পাব। তার পরও প্রধানমন্ত্রী যদি আমাদের না ডাকেন, কাল (আজ) থেকে শিক্ষকরা আমরণ অনশন করবেন।’