বক্তব্যের সারমর্ম হচ্ছে- বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে সারা বিশ্ব মন্তব্য করতে পারে, তবে এ বিষয়ে ভারতের ভাবনা ভারতের কাছে। বাংলাদেশের সাথে ভারতের বিশেষ সম্পর্ক রয়েছে। বাংলাদেশের পরিকল্পনা অনুযায়ীই সেখানে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ভারত আশা করছে, বাংলাদেশে শান্তি সমুন্নত থাকবে এবং কোনো সহিংসতা হবে না। আর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিষয়ে ভারতের কোন মন্তব্য নেই।
ভারতীয় মুখপাত্রের মন্তব্যে কয়েকটি বিষয় পরিষ্কার। এক, বাংলাদেশের নির্বাচন তার পরিকল্পনা অনুযায়ীই অনুষ্ঠিত হবে। বাংলাদেশের সংবিধান ও আইন অনুযায়ীই যথাযথ সময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
দুই, বাংলাদেশের নির্বাচন ও রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে পশ্চিমা বিশ্বসহ পৃথিবীর অন্যান্য দেশ কী ভাবছে সেটি তার জন্য মুখ্য নয়।
এক্ষেত্রে ভারতের নিজস্ব ভাবনা রয়েছে কারণ বাংলাদেশে যা কিছু ঘটে এর প্রভাব ভারতে পড়ে। ভৌগলিক ও ভূরাজনৈতিক দিক বিবেচনায় ক্রসবর্ডার নিরাপত্তা সহ বেশ কিছু বিষয়েই দুই দেশের জাতীয় স্বার্থ একই সূত্রে গাঁথা। তাই বাংলাদেশে শেখ হাসিনার নেতৃত্বের স্থিতিশীলতা ভারতের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ।
তিন, ভারত আশা করছে, বাংলাদেশে শান্তি সমুন্নত থাকবে এবং কোনো সহিংসতা হবে না। এর অর্থ হচ্ছে বিএনপি সন্ত্রাস ও নৈরাজ্য সৃষ্টির মাধ্যমে নির্বাচন প্রতিহত করার যে চেষ্টা করবে, তারা এটিকে সমর্থন করবে না। ভারত যে বিএনপির এই সন্ত্রাস ও অরাজকতার বিরুদ্ধে তারা সেটিই পরিষ্কার করলো।
চার, ভারত মনে করে বাংলাদেশের জনগণ যেভাবে নির্ধারণ করবে সেভাবেই নির্বাচন ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া হওয়া উচিত। কূটনীতি ও আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী কোন রাষ্ট্রের জনগণের মতামত বা ইচ্ছা তার নিজস্ব সংবিধান ও আইনেই প্রতিফলিত হয়। এর অর্থ এই যে, বাংলাদেশের নির্বাচন তার নিজস্ব ও অভ্যন্তরীণ বিষয়। এ নিয়ে অন্যদের নাক গলানোর সুযোগ কম।
পাঁচ, বিএনপি’র তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি নিয়ে ভারতের কোন সমর্থন নেই সেটি পরিষ্কার হলো। তবে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা কোন দেশই বিএনপির তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবির বিষয়ে সমর্থন জানায়নি। অন্যদিকে, ভারত যে বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে সেটিও তারা জানিয়ে দিল।