আজ সোমবার আবহাওয়া অফিস বলছে, সক্রিয় মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকায় গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালা তৈরি অব্যাহত রয়েছে। এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও এর কাছাকাছি বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা এবং সমুদ্র বন্দরসমূহের ওপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে আজও ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে।
সকাল ৬টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ চট্টগ্রামে ৩২২ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া খেপুপাড়ায় ৩১৬, বান্দবানে ২৮৬, হাতিয়ায় ২২১, কুতুবদিয়ায় ১৬৬, সন্দ্বীপ, ফেনী ও কুমিল্লায় ১৫৪, রাঙ্গামাটি ১৪৫, সীতাকুন্ডে ১২৯, মাদারীপুর ও চাঁদপুরে ১২০, বরিশালে ১০৪, সিলেটে ৮৫, মাইজদীকোর্টে ৭৪, নেত্রকোনায় ৭২ ও নিকলিতে ৬৬ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। এ সময় ঢাকায় মাত্র ১৮ মিলিমিটার বৃষ্টি হয় বলে আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে।
অতি ভারী বর্ষণের কারণে চট্টগ্রাম বিভাগের পাহাড়ী এলাকায় কোথাও কোথাও ভূমিধ্বসের শঙ্কা রয়েছে।
আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, মৌসুমী বায়ুর অক্ষ পাঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তর প্রদেশ, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ এবং বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমী বায়ু বাংলাদেশের উপর সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারি থেকে প্রবল অবস্থায় রয়েছে। রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। গসেই সাথে দেশের কোথাও কোথাও ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে। পরবর্তী তিন দিনে আবহাওয়ার অবস্থা সামান্য পরিবর্তন হতে পারে। সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে।