পাবনার বেড়া উপজেলার চাকলা আশ্রয়ণ প্রকল্পে নতুন ঘর পাওয়া দৃষ্টি প্রতিবন্ধী লিলি বেগমের চিকিৎসার দায়িত্ব নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এবার ঘরের সঙ্গে সঙ্গে তার চোখের আলোও ফেরার আশা তৈরি হয়েছে।
গত বুধবার (৯ আগস্ট) দেশের তিন জেলায় গৃহহীনদের ঘর প্রদান অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী। এ সময় পাবনা অংশ থেকে কথা বলেন ঘর পাওয়া উপকারভোগী লিলি বেগম।
ঘর হস্তান্তরকালে স্বামী পরিত্যক্তা দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী লিলি বেগম জানান, রোগে আক্রান্ত হয়ে আমার চোখ নষ্ট হয়ে যায়। এ কারণে আমার স্বামী সন্তানসহ আমাকে রেখে অন্যত্র চলে যায়। পরে বাবার বাড়িতে আশ্রয় নিই। বাবা জায়গা-জমি বিক্রি করেও চোখের চিকিৎসা শেষ করতে পারেননি।
এ সময় আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি লিলির চোখের চিকিৎসার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে জেলা প্রশাসককে নির্দেশ দেন।
জেলা প্রশাসক সূত্রে জানা গেছে, আজ মুজিববর্ষ উপলক্ষে ভূমিহীন ও গৃহহীনদের জন্য নির্মিত চতুর্থ পর্যায়ের দ্বিতীয় ধাপে পাবনা জেলার পাঁচটি উপজেলায় ৬৪৬টি ঘর হস্তান্তর করা হয়েছে। এর মাধ্যমে পাবনা জেলাকে ‘ক’ শ্রেণির ভূমি ও গৃহহীনমুক্ত হিসেবে ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। অনুষ্ঠানে চতুর্থ পর্যায়ের দ্বিতীয় ধাপে এবার পাবনার পাঁচটি উপজেলার মধ্যে চাটমোহরে ৭৮টি, ভাঙ্গুড়ায় ৪১টি, ফরিদপুরে ১১৩টি, সুজানগরে ৫৩টি ও বেড়ায় ৩৬১টি ঘর হস্তান্তর করা হয়েছে। এর আগে প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ পর্যায়ের প্রথম ধাপে ৩ হাজার ৯টি ঘর ভূমি ও গৃহহীন পরিবারকে প্রদান করা হয়েছে। চতুর্থ পর্যায়ে জেলায় ১ হাজার ৫১৮টি ঘর বরাদ্দ পাওয়া গেছে। তার মধ্যে প্রথম ধাপে গত ২২ মার্চ ৮৭২টি ঘর প্রদান করা হয়েছে। আর দ্বিতীয় ধাপে প্রদান করা হলো ৬৪৬টি ঘর।
এ সময় পাবনা প্রান্তে উপস্থিত ছিলেন, ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট শামসুল হক টুকু, পাবনা-২ আসনের সংসদ সদস্য আহমেদ ফিরোজ কবির, রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার ড. দেওয়ান মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির, রাজশাহী রেঞ্চের ডিআইজি আনিসুর রহমান, পাবনার পুলিশ সুপার মুন্সি আকবর আলী ও পাবনার জেলা প্রশাসক মু. আসাদুজ্জামান প্রমুখ।
ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট