বহুমাত্রিক লেখক ও ভাষাবিজ্ঞানী অধ্যাপক হুমায়ুন আজাদের ১৯তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ ১২ আগস্ট। প্রথাবিরোধী ও মুক্তচিন্তার পক্ষের লেখক হিসেবে পরিচিত হুমায়ুন আজাদ ২০০৪ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি রাজধানী ঢাকায় উগ্রপন্থীদের হামলায় গুরুতর আহত হন। পরে চিকিত্সায় তিনি অনেকটা সুস্থ হয়ে ওঠেন। ওই বছরেরই ৭ আগস্ট পেন সংগঠনের আমন্ত্রণে জার্মানির কবি হাইনরিশ হাইনের ওপর গবেষণা বৃত্তি নিয়ে তিনি জার্মানিতে যান।
এর পাঁচ দিন পর মিউনিখের নিজ ফ্ল্যাটে তাঁকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়।
হুমায়ুন আজাদের প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা ষাটের বেশি। তাঁর বেশির ভাগ বইয়ের প্রকাশক আগামী প্রকাশন আজ শনিবার এক আলোচনাসভার আয়োজন করেছে। আগামী প্রকাশনের প্রধান নির্বাহী ওসমান গনি জানিয়েছেন, রাজধানীর সেগুনবাগিচার জাতীয় নাট্যশালার সেমিনারকক্ষে অনুষ্ঠানটি বিকেল ৪টায় শুরু হবে।
এতে আলোচনা করবেন কবি মারুফুল ইসলাম, কবি কামরুল ইসলাম, ড. প্রতিভা রানী কর্মকার ও মৌলি আজাদ। আলোচনা শেষে কবিতা পাঠ করা হবে। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা।
হুমায়ুন আজাদের জন্ম বিক্রমপুরের রাঢ়ীখালে ১৯৪৭ সালের ২৮ এপ্রিল।তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক এবং সভাপতি ছিলেন। তাঁর প্রকাশিত বইয়ের মধ্যে আছে ‘অলৌকিক ইস্টিমার’, ‘৫৬ হাজার বর্গমাইল’, ‘সবকিছু ভেঙে পড়ে’, ‘রাজনীতিবিদগণ’, ‘একটি খুনের স্বপ্ন’, ‘পাক সার জমিন সাদবাদ’, ‘রাষ্ট্র ও সমাজচিন্তা’, ‘নারী (নিষিদ্ধ ১৯৯৫)’, ‘প্রতিক্রিয়াশীলতার দীর্ঘ ছায়ার নিচে’, ‘আমরা কি এই বাংলাদেশ চেয়েছিলাম’, ‘বাঙলা ভাষার শত্রুমিত্র’, ‘বাঙলা ভাষা (প্রথম ও দ্বিতীয় খণ্ড)’, ‘ফুলের গন্ধে ঘুম আসে না’, ‘বুক পকেটে জোনাকি পোকা’, ‘আব্বুকে মনে পড়ে’।
ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট