ভাঁড়ারা শাহী মসজিদ পাবনা জেলার সদর উপজেলার ভাঁড়ারা ইউনিয়নের ভাঁড়ারা গ্রামে অবস্থিত একটি সুপ্রাচীন ঐতিহাসিক মসজিদ । মসজিদটি ১৭৫৭ সালে বাদশাহ শাহ আলমের রাজত্বকালে দৌলত খা-এর পুত্র আসালত খা মসজিদটি নির্মাণ করেন।
ভাঁড়ারা শাহী মসিজদ প্রায় ৪০০ বছরের পুরাতন একটি ঐতিহ্যবাহী শাহী মসজিদ। কথিত আছে মসজিদটি এক রাতে তৈরী হয়েছিল।মসজিদটিকে কেন্দ্র করে অনেক লোক কাহিনী প্রচলিত আছে । লোক মুখে শোনা যায় প্রমক্ত পদ্মা নদী একবার ভাঙতে ভাঙতে নাকি মসজিদের প্রায় গায়ের কাছে চলে আসে এবং পাশেই একটি হিন্দুদের প্রাচীন মন্দির ছিল । ঐ সময় নাকি একবারে ভাঙনের মুখে মসজিদটি অক্ষত রেখে মন্দিরটি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যায় এবং তারপর নদীর ভাঙন বন্ধ হযে যায়। ঐ মসজিদের ইমাম সাহেব একজন কামেল লোক ছিলেন। কথিত আছে তিনি মারা যাওয়ার পর একদিন রাতে নদী পার হওয়ার সময় মাঝি তার কাছে টাকা চাইলে তিনি মাঝিকে ঐ মসজিদের মধ্যে রক্ষিত কোরআন শরিফের মধ্যে টাকা রাখা আছে বলে তাকে জানায়।
মসজিদটি তিন গম্বুজ বিশিষ্ট, মসজিদের আকার খুব বেশি বড় নয়, স্বাভাবিক গঠনেই রয়েছে। তবে মসজিদ গঠনগত দিক থেকে খুব শক্তিশালী। সারা বছর দেশের বিভিন্ন স্থান হতে মসজিদটি দেখার জন্য নানা বয়সী মানুষ এখানে আসেন। প্রতি শুক্রবারে শত শত মানুষ জুম্মার নামাজ আদায় করার জন্য উপস্থিত হয়। মসজিদের পূর্বপাশে একটি মাজার রয়েছে। লম্বা আকৃত মাজারটি ফকির শাহ মাজার হিসাবে পরিচিত। প্রতিনিয়ত অসংখ্য মানুষ বিভিন্ন বিপদ আপদ থেকে রক্ষা পেতে বা মনের ইচ্ছা পূরণের জন্য এ মসজিদে দান করে থাকেন। ভাঁড়ারা শাহী মসজিদটি ওয়াকফ স্টেটের অর্ন্তভূক্ত সম্পত্তি। এটি পরিচালনার জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও ইউ.পি চেয়ারম্যানসহ মোট সাত সদস্যের কমিটি রয়েছে।
ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট