আদেশের পর এই আইনজীবী সাংবাদিকদের বলেন, ‘অবমাননার আবেদনের শুনানি অবকাশের পর ১৯ অক্টোবর তারিখ রেখেছেন আদালত।’
গত ১৫ আগস্ট সুপ্রিম কোর্ট আয়োজিত জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা অনুষ্ঠানে বিচারকদের ‘শপথবদ্ধ রাজনীতিবিদ’ উল্লেখ করে বক্তব্য দেন আপিল বিভাগের একজন বিচারপতি। ওই অনুষ্ঠানেই জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে বিদেশিদের দৌড়ঝাঁপ, হস্তক্ষেপ নিয়ে সমালোচনা করেন আপিল বিভাগের আরেক বিচারপতি। এর পর থেকে এ দুই বিচারপতির পদত্যাগ দাবি করে নানা কর্মসূচি পালন করে আসছেন বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা।
গত ২৭ আগস্ট বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের সংগঠন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম এ নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করে। সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি ভবনের দক্ষিণ হলে অনুষ্ঠিত এ সংবাদ সম্মেলন থেকে আপিল বিভাগের দুই বিচারপতিকে বিচারকাজ থেকে সরাতে প্রধান বিচারপতিকে অনুরোধ জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে কায়সার কামাল বলেন, ‘আপিল বিভাগের দুজন বিচারপতি যেহেতু শপথ ভঙ্গের মাধ্যমে বিচারকাজ পরিচালনার আইনি ও নৈতিক অধিকার হারিয়েছেন, তাই তাদের বিচারিক কাজ থেকে বিরত রাখতে মাননীয় প্রধান বিচারপতির কাছে অনুরোধ জানাচ্ছি।’
এরপর মঙ্গলবার আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় আবেদনটি করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. নাজমুল হুদা।
পরে আবেদনটি শুনানির জন্য প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চে কার্যতালিকায় তোলা হয়। একেবারে শীর্ষে রাখা হয় আবেদনটি।
যাদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার আবেদন করা হয়েছে, তারা হলেন বিএনপির আইন বিষয়ক সম্পাদক ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী কায়সার কামাল, সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল আব্দুল জামিল মোহাম্মদ আলী ওরফে এ জে মোহাম্মদ আলী, আইনজীবী ফাহিমা নাসরিন, মো. আব্দুল জব্বার ভুঁইয়া, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস কাজল, মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান খান ও গাজী কামরুল ইসলাম সজল।