সীমান্তবর্তী জেলা চাঁপাইনবাবগঞ্জে ক্রিপ্টোকারেন্সি প্রতারণা ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। এই অবৈধ কারবারের নেপথ্যে মাস্টারমাইন্ড হিসেবে উঠে এসেছে এম মাহামুদুল হাসান রনি ।তার বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার বোয়ালিয়া ইউনিয়নের ছোট বঙ্গেশ্বরপুর চুরকি পাড়া গ্রামে। বাবা গ্রামে জামা কাপড় তৈরির কারিগর থাকলেও এখন ঘুরে ফিরে খান।
গোয়েন্দা সূত্র ও অনুসন্ধান বলছে মাহামুদুল হাসান রনি ক্রিপ্টোকারেন্সি ক্রয়-বিক্রয়সহ মানি লন্ডারিং ও অনলাইন প্রতারণার অন্যতম হোতা। এ সবের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ দেশি-বিদেশি মুদ্রা হাতিয়ে নিয়েছেন তিনি। অর্থবিত্তের মালিক হওয়ার জন্য, নানা ধরনের ছলচাতুরী, কূটকৌশল কিংবা প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে থাকেন রনি। প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ হাতিয়ে তিনি এখন কয়েক কোটি টাকার মালিক।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, অতি অল্প সময়ে চোখধাঁধানো মুনাফার টোপে ফেলে শত শত মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করেছেন মাহামুদুল হাসান রনি। পিএলসি আলটিমা নামের ওই অনলাইন ক্রিপ্টো ট্রেডিং কোম্পানি বন্ধ হয়ে গেলেও রূপকথার টাকার গাছ বিটকয়েনের কারবার ছাড়েননি রনি ।
মো. এম মাহামুদুল হাসান রনি ঢাকায় বেশি লোককে আকৃষ্ট করার জন্য চাকরি নেন ইনসেপটা ফার্মাসিটিক্যালে এসপিও হিসেবে। কাজ করেন কাকরাইল, ফকিরাপুল ও শান্তিনগর এলাকায়। ইনসেপটা ফার্মাসিটিক্যালে চাকরির সময় সহকর্মীদের কাছ থেকেও অর্থ-আত্মসাৎ ও ঔষধ চুরি করার দায়ে ইনসেপটা ফার্মাসিটিক্যাল থেকে চাকরি চলে যায়। বর্তমানে রেনেটা ফার্মাসিটিক্যালে চাকরি করছেন। এখানেও সে প্রতারনার জাল বিছানোর চেষ্টা করছেন।
তবে প্রতারণার বিষয়ে প্রতারক মাহমুদুল হাসান রনির বক্তব্য পাওয়া যায়নি। একই সময়ে ভিন্ন ভিন্ন ফোন নম্বর ব্যবহার করায় মুঠোফোনে তাকে পাওয়া যায়নি।
ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট