মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশপ্রেমিক নতুন প্রজন্ম গড়ে তোলার ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য অমর হয়ে থাকবেন পান্না কায়সার। অসাম্প্রদায়িক ও মানবিক মূল্যবোধসম্পন্ন সমাজ গঠনে তাঁর অবদান অনস্বীকার্য। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের জন্য আজীবন সংগ্রাম করছেন এই শহীদজায়া। তিনি ছিলেন চেতনার বাতিঘর।
নিজের ভালো কাজের মধ্যে দিয়েই শিশু-কিশোরদের মধ্যে চিরকাল বেঁচে থাকবেন পান্না কায়সার।
শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর) শিশু-কিশোর সংগঠন কেন্দ্রীয় খেলাঘরের চেয়ারম্যান শহীদজায়া অধ্যাপক পান্না কায়সারের মহাপ্রয়াণে আয়োজিত শোকসভায় অংশ নিয়ে বিশিষ্টজনরা এসব কথা বলেন।
শোকসভায় বক্তারা বলেন, অন্ধকারের শক্তি প্রবল হয়ে আমাদের সব অর্জন আচ্ছন্ন করে ফেলেছে। মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশ আজ নানা সংকটের মুখে।
দেশটা আজ পাকিস্তানের মতো খারাপ জায়গায় গেছে। তাই সবাই মিলে দেশ গড়ার কাজ করতে হবে। তাহলে তার আত্মা যেমন শান্তি পাবে, আদর্শের বাস্তবায়ন হবে।
সভায় বিশিষ্টজনরা শিক্ষাবিদ, লেখক, গবেষক ও সংগঠক পান্না কায়সারের জীবন ও কর্মের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন।তারা বলেন, পান্না কায়সারের চলে যাওয়া মানেই দেশ ও জাতির জন্য অপূরণীয় ক্ষতি। আজকের শিশুদের একটি অংশ নানা কারণে অন্ধকারের পথে পা বাড়িয়েছে। বৈরি পরিস্থিতিতে তিনি আলোকিত সমাজ বিনির্মাণে শিশুদের নিয়ে সারাদেশে কাজ করেছেন। তিনি ছিলেন চেতনার বাতিঘর। অসাম্প্রদায়িক চেতনার এই মানুষটির নাম বাঁচিয়ে রাখতে হলে শিশুদের সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার পাশাপাশি খেলাঘর আন্দোলনকে আরো বেগবান করতে হবে।
এর আগে রবীন্দ্রনাথের ‘আগুনের পরশমনি ছোঁয়াও প্রাণে’ গানের মধ্য দিয়ে বাংলা একাডেমি মিলনায়তনে পান্না কায়সারের শোকসভা শুরু হয়।
খেলাঘরের প্রেসিডিয়াম সদস্য ডা. মাখদুমা নার্গিস রত্নার সভাপতিত্বে শোকসভায় বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আখতারুজ্জামান, বাংলা একাডেমীর মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা, বরেণ্য রাজনীতিক মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ম. হামিদ, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত, পান্না কায়সারের ছেলে অমিতাভ কায়সার ও মেয়ে শমী কায়সার প্রমুখ।
ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট