1. fauzursabit135@gmail.com : Fauzur Rahman Sabit : Fauzur Rahman Sabit
  2. sizulislam7@gmail.com : sizul islam : sizul islam
  3. mridha841@gmail.com : Sohel Khan : Sohel Khan
  4. multicare.net@gmail.com : অদেখা বিশ্ব :
সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫, ০৬:৫৩ পূর্বাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ :
পলাশবাড়ীতে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়, সেনা হস্তক্ষেপে যাত্রীদের অর্থ ফেরত পায়ের ব্যথা যেসব রোগের লক্ষণ হতে পারে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ট্রাম্পবিরোধী বিক্ষোভ বর্ষার শুরুতেই সপ্তাহব্যাপী বৃষ্টির বার্তা দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর হরমুজ প্রণালী: ইরানের এক অদৃশ্য কিন্তু কার্যকর অস্ত্র ঈদের দীর্ঘ ছুটি শেষে আগামীকাল রবিবার অফিস খুলছে সোনাতলায় অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্ত দুটি পরিবারকে শিল্পপতি রিপনের আর্থিক অনুদান প্রদান মন্ত্রণালয়ের আশ্বাসে ১৬ ‍দিন পর আন্দোলন স্থগিত করল পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি ঘরমুখো মানুষের যাত্রা নির্বিঘ্ন করতে ত্রিশাল উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগ জাতিসংঘে যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে মার্কিন ভেটো

জওয়ান কী বার্তা দিল?

মজিব রহমান
  • প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
ভারতে মুসলিম অভিনেতাদের সিনেমা বর্জনের একটা ঢেউ উঠেছিল৷ খানদের সিনেমা পরপর ফ্লপ করলে ধরে নেয়াই হয়েছিল, বিজেপির সমর্থকদের বর্জনের ডাকেই আমির-শাহরুখ- শালমানরা কুপোকাত হয়ে যাচ্ছেন৷ অভিনেতারাও সেটাই ধরে নিয়েছিলেন৷ শাহরুখ জোরহাতে আকুতি জানান পাঠান বয়কট না করতে৷ বয়কটের ডাক আরো শক্তিশালী হয়৷ পাঠান সিনেমাটি নিষিদ্ধের দাবী তোলা হয়৷ দাবির পক্ষে সোচ্চার হয়ে উঠেন কতিপয় মন্ত্রীও৷ যখন গেরুয়া রং এর বিকিনি পরা নায়িকা দিপিকার বেশরম রং গানটি প্রকাশ পায় তখন বয়কট ও নিষিদ্ধের ডাক জোরালো হয়৷ আগুন লাগানো হয় সিনেমা হলে৷ আতঙ্কবাদীরা উল্লসিত হয়ে উঠে৷
কিন্তু বিস্ময়করভাবে জেগে ওঠে ভারতের সিনেমাপ্রেমিরা৷ ধ্বংসস্তূপ থেকে এই জেগে ওঠা পৌরণিক স্ফিনিকস পাখির মতোই জেগে ওঠা৷ ভারতীয় দর্শকদের ভালবাসায় সিক্ত পাঠান একটার পর একটা রেকর্ড ভাঙতে থাকে৷ ধুলোর মতো উড়ে যায় বয়কট/নিষিদ্ধের ডাক৷ ধর্মান্ধতার আঁধার চিঁড়ে উঁকি দেয় সংস্কৃতির সূর্য৷ সেই সূর্যটা আরো জ্বলে উঠলো শাহরুখের জওয়ানের জওয়ানিতে৷ জওয়ানের বয়কটের ডাকও উঠেছিল৷ বয়কটের ডাক হালে পানি পাচ্ছিল না৷ যদি আবারো সাড়া ফেলতো বয়কটের ডাক তাহলে সংস্কৃতির বিপক্ষস্রোত হড়কাবানে রূপ নিতো৷ এবং মুম্বাই সিনেমা ইন্ডাস্ট্রিই ভেসে যেতো৷ পাঠান যদি প্রথম প্রতিরোধ হয় তাহলে দুষ্টু দমনের বাঁধ হয়ে উঠল জওয়ান৷
ধর্ম ভারতে একটা সমস্যা বটে তবে জওয়ান দেখছে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকল সিনেমাপ্রেমি মানুষই৷ সিনেমায় কিছু মেসেজ, কিছু মসল্লা আর কিছু গল্প ছিলই যা হয়তো দর্শকদের আকৃষ্ট করেছে৷ যদি ধর্মান্ধদের বয়কটের ডাকে কেবল নায়কের ধর্মীয় পরাচয়ের কারণে সিনেমাটি ফ্লপ করতো তাহলে মনে হতো ভারতের মানবতায় ফিরে আসা কঠিনতর হয়ে গেল৷ ভবিষ্যতে দক্ষিণ এশিয়াকে ভারতই অসাম্প্রদায়িকতার পথ দেখাতে পারবে৷ ভারত সাম্প্রদায়িক হলে পুরো দক্ষিণ এশিয়াই সাম্প্রদায়িকতার বিষে নীল হয়ে যাবে৷
অভিনন্দন দর্শকদের৷

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট

Theme Customized BY LatestNews