অ্যাডাম রবার্ট কর্ডেন ব্রিটন ( ৫১) ২০১৪ সালে তার অপরাধ কর্মকাণ্ড শুরু করেছিলেন এবং ২০২২ সালের এপ্রিলে গ্রেপ্তার হওয়া পর্যন্ত ৪২ টিরও বেশি কুকুরকে নির্যাতন ও যৌন শোষণ করেছিলেন।
গত সোমবার অস্ট্রিলিয়ার একটি আদালতে ৪২টি কুকুরকে নির্যাতনের জন্য দোষী সাব্যস্ত হয়। এদের মধ্যে ৩৯টি কুকুরের মৃত্যুও হয়েছে। এই সময় তিনি আদালতে বেশ শান্তভাবেই দাঁড়িয়েছিলেন। তার মধ্যে শিশুর ওপর যৌন নির্যাতনের উপাদান ইন্টারনেটে আপলোড করার অভিযোগও রয়েছে।
প্রসিকিউটর মার্টি অস্ট অভিযোগ পড়ে শোনানোর আগে প্রধান বিচারপতি মাইকেল গ্রান্ট পাবলিক গ্যালারি, নিরাপত্তা কর্মী এবং মিডিয়াকে আদালত থেকে বেরিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, ‘অভিযোগে এমন বিষয় রয়েছে যা বিভৎস, বিকৃত এবং নিষ্ঠুর। সবাই তা সহ্য করতে পারবে না। এটা এতটাই কষ্টদায়ক যে মানুষের মনের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে।
যাইহোক আমি এটা আপনাদের ওপর ছেড়ে দেব। আপত্তিকর বিবরণ প্রকাশ করা খুব ভয়ঙ্কর কিন্তু এটা সত্যি যৌন নির্যাতনে ৩৯টি কুকুরের মৃত্যু হয়েছে। অপরাধীর প্রাণীদের ওপর এবং বিশেষ করে কুকুরের প্রতি দুঃখজনক যৌন আগ্রহ ছিল।’
ব্রিটন নিজের কুকুরদের নির্যাতনের পাশাপাশি ডারউইন অঞ্চলের কিছু মালিকদের কাছ থেকে অন্যান্য কুকুর সংগ্রহ করেছিলেন। অভিযোগে বলা হয়, প্রাণীবিজ্ঞানী বলেই পরিচিতরা তার কাছে পোষ্যকে রেখে বেড়াতে বা প্রবাসে কর্মস্থল যেতেন।
সেই সুযোগ কাজে লাগাতেন অ্যাডাম। কুকুরগুলোকে ধর্ষণ করতেন। অন্য রাজ্য বা শহরে থাকা পোষ্যের মালিকদের কুকুরের পুরনো ছবি পাঠাতেন। যদিও ততদিনে অ্যাডামের অত্যাচারে মৃত্যু হয়েছে সেই কুকুরের।
অস্ট বলেন, ‘প্রায়ই কুকুরের মালিকরা তাদের পশুদের ব্রিটনের হেফাজতে রেখে যেতেন। মালিকের সঙ্গে সে ভালো সম্পর্ক তৈরি করেছিলেন। তারা দূরে কোথাও কাজে গেলে তাদের পোষা প্রাণী তার কাছে রেখে যেত।’
অ্যাডাম রবার্ট কর্ডেন ব্রিটনের জন্ম যুক্তরাজ্যে এবং ব্রিস্টল বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রাণিবিদ্যায় পিএইচডি সম্পন্ন করেছিলেন। ব্রিটন অনলাইন ফোরামে ছদ্মনামে কুকুরদের যৌন শোষণের ভিডিও এবং ছবিও পোষ্ট করতেন। অবশেষে এই ভিডিওগুলোর মধ্যে একটি ভিডিও ‘এনটি অ্যানিমাল ওয়েলফেয়ার ব্রাঞ্চ’-এ পাঠানো হয়েছিল এবং পরে তা পুলিশের কাছে পাঠিয়েছিল। ২০২২ সালের এপ্রিলে ব্রিটনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর তাকে রিমান্ডে নেওয়া হয়েছিল। আদালত তার বিষয়ে ১৩ ডিসেম্বর সাজা ঘোষণা কারার কথা।
সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান।