বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রোগী কমলেও পরিস্থিতি সহনীয় পর্যায়ে আসতে আরো অপেক্ষা করতে হবে। অক্টোবর শেষে ডেঙ্গুর প্রকোপ বা সংক্রমণ কমতে পারে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য মতে, গেল সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে ঢাকায় গড়ে চিকিৎসাধীন রোগী ছিল চার হাজার ৫০০ জন। বর্তমানে ভর্তি রোগী দুই হাজার ৭৫২ জন।
এদিকে, ঢাকার বাইরে সেপ্টেম্বরে চিকিৎসাধীন রোগী ছিল পাঁচ হাজার ৫০০ জন। বর্তমানে ভর্তি আছে ছয় হাজার ১৬৯ জন। ঢাকার বাইরে সবচেয়ে বেশি ভর্তি আছে চট্টগ্রাম, বরিশাল ও খুলনা বিভাগে।
এমন পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, দেশে গতকাল শুক্রবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে; আটজনই ঢাকার বাইরের, একজন ঢাকার। এ সময় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে এক হাজার ৮০০ জন। এর মধ্যে ঢাকার বাইরে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয় এক হাজার ২৯৬ জন। ঢাকায় ৫০ জন।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ও কীটতত্ত্ববিদ কবিরুল বাশার বলেন, বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে এখন সারা বছরই ডেঙ্গুর ঝুঁকি থাকবে। তবে বৃষ্টি না হলে বা শীতকালে ডেঙ্গুর প্রকোপ কম থাকবে। বর্ষাকালে সেটি বেশি হবে।