প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যুদ্ধ বন্ধের জন্য বিশ্বনেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, ‘যুদ্ধে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে নারী ও শিশুরা। আমরা কোনো যুদ্ধ চাই না। আমি শুধু একজন নারী রাজনীতিক বা প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নয়, একজন মা হিসেবে বিশ্বনেতাদের কাছে অনুরোধ করব, আপনারা বন্ধ করেন এই যুদ্ধ। বন্ধ করেন এই অস্ত্রের খেলা, এই অস্ত্র প্রতিযোগিতা।
আজ মঙ্গলবার নারী উদ্যোক্তা এবং আওয়ামী লীগের বিভিন্ন মহিলা অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত জয়িতা টাওয়ার উদ্বোধন-পরবর্তী সমাবেশে প্রধান অতিথির ভাষণে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আজকে পৃথিবীজুড়ে এক যুদ্ধের দামামা আমরা দেখতে পাই। ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ, তার মধ্যে আবার ফিলিস্তিনের ওপর ইসরায়েলের হামলা। যুদ্ধ হলে অস্ত্রের প্রতিযোগিতা হলে সবচেয়ে বেশি কষ্ট পায় আমাদের নারী এবং শিশুরা।
তারাই বেশি কষ্ট ভোগ করে।’
‘আমাদের সব রকম অভিজ্ঞতা রয়েছে’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘৭১ সালে পাকিস্তানি আর্মি আমার বাবাকে বন্দি করে নিয়ে যায়। তারপর মাকে বন্দি করে। আমি ছোট বোন রেহানা ও ছোট ভাইসহ বন্দিখানায় ছিলাম।
এমনকি আমি সে সময় অন্তঃসত্ত্বা ছিলাম। আমাদের কোনো ফার্নিচার ছিল না। খাবার কী হবে তার কোনো নিশ্চয়তা ছিল না। কাজেই যুদ্ধের সময় যে কী ভয়াবহ অবস্থার সৃষ্টি হয়, সে অভিজ্ঞতা আমার আছে।’
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছোট কন্যা ও প্রধানমন্ত্রীর ছোট বোন শেখ রেহানা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়রম্যান মেহের আফরোজ চুমকি, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়া, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব নাজমা মোবারেক এবং জয়িতা ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আফরোজা খান অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন। জয়িতা ফাউন্ডেশনের কর্মকাণ্ড এবং নবনির্মিত জয়িতা টাওয়ারের ওপর একটি ভিডিও ডকুমেন্টরি অনুষ্ঠানে প্রদর্শিত হয়।
এর আগে আজ সকালে রাজধানীর ধানমণ্ডি এলাকায় নবনির্মিত জয়িতা ১২তলা আইকনিক টাওয়ার উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। দেশব্যাপী নারীবান্ধব পৃথক বিপণন নেটওয়ার্ক গড়ে তোলার লক্ষ্যে জয়িতার কার্যক্রম চালু করা হয়।
ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট