ফিলিস্তিনে অব্যাহত গণহত্যা ও অবৈধ দখলদারিত্বের প্রতি ধিক্কার ও ফিলিস্তিনি জনগণের আন্দোলনের প্রতি সমর্থন জানাতে আজ সকাল ১১ টায় বগুড়ার ঐতিহাসিক সাতমাথায় গণতান্ত্রিক ছাত্রজোট বগুড়া জেলার “সংহতি সমাবেশ” অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ছাত্র ইউনিয়ন বগুড়া জেলার সভাপতি ছাব্বির আহম্মেদ রাজ এর সভাপতিত্বে এবং স্কুল ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক আফ্রিক হাসান প্রান্ত’র সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ছাত্র ইউনিয়ন বগুড়া জেলার সাবেক সভাপতি সাদ্দাম হোসেন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক সোহানুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক বায়েজিদ রহমান, গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিল বগুড়া জেলা শাখার আহ্বায়ক সাকিব খান, সদস্য শেখ মেহেরাব রাসুল।
সমাবেশে সংহতি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন সিপিবি বগুড়া জেলার সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ফরিদ, কৃষক সমিতি বগুড়ার সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সন্তোষ কুমার পাল, উদীচী বগুড়ার সহ-সভাপতি এ্যাড. লুৎফর রহমান, ক্ষেতমজুর সমিতি বগুড়া সদর উপজেলার সভাপতি শুভ শংকর গুহ রায়, যুব ইউনিয়ন বগুড়ার সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান পারভেজ।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, ” ফিলিস্তিনের জনগণ আজ নিজ দেশে পরবাসী হয়ে পড়েছে। ৭৫ বছরের বেশি সময় ধরে ফিলিস্তিনে জাতিগত নিধন, গণহারে হত্যা, অবিচার, দমনপীড়ন, উপনিবেশ স্থাপন ও দখলদারি চালাচ্ছে ইসরায়েল। সম্প্রতি ফিলিস্তিনের গাজায় নারকীয় হত্যাকাণ্ড চালাচ্ছে ইসরায়েল। ফিলিস্তিনি জাতিকে কাঠামোগত গণহত্যার মাধ্যমে শেষ করে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। গাজায় দুই সপ্তাহ ধরে চলা ইসরায়েলের নির্বিচার হামলায় ৪ হাজার ১৩৭ জন নিহত হয়েছেন। আহত ১৩ হাজারের বেশি মানুষ। বেসামরিক লোকজনও এ হামলা থেকে রক্ষা পাচ্ছে না। এমনকি হাসপাতাল, গির্জাসহ জনসাধারণের বসতবাড়ি লক্ষ্য করে হামলা চালানো হচ্ছে। জাতিসংঘের ১৯৬৭ সালের রেজল্যুশনে স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার ম্যান্ডেট আছে। তারা এমন অবস্থা তৈরি করেছে, যাতে এমন কোনো ভূমিই না থাকে, যেটাকে ভিত্তি করে ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হতে পারে। অবরুদ্ধ গাজায় বিদ্যুৎ, জ্বালানি, খাবার, পানি ও চিকিৎসা সরঞ্জামের অভাবে বাসিন্দাদের অবস্থা এখন দুর্বিষহ। দুই সপ্তাহে গাজা নরককুণ্ডে পরিণত হয়েছে। আমরা অবিলম্বে ফিলিস্তিনে এই হামলা বন্ধের দাবি জানাচ্ছি। একই সাথে গাজা উপত্যকায় ত্রাণবাহী ট্রাকগুলোকে ঢুকতে দেয়ার দাবি জানাচ্ছি।”
বক্তারা ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের অবৈধ দখলদারিত্বের অবসান এবং ফিলিস্তিনের অধিকার প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশের ছাত্র জনতাসহ বিশ্ববাসীকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
সমাবেশ শেষে ইসরায়েল এবং দখলদার ইসরায়েলকে মদদ-দানকারী সাম্রাজ্যবাদী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পতাকা পোড়ানো হয় এবং একটি বিক্ষোভ মিছিল শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে।