সম্প্রতিক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচনা সমালোচনা হচ্ছে ঈশ্বরদী জংশন তার ঐতিহ্য হারাতে বসেছে। বাংলাদেশের অবকাঠামো উন্নয়নের অংশ হিসাবে বাংলাদেশ রেলওয়েতে ও উন্নয়ন হচ্ছে এ বিষয়ে কোন সন্দেহ নেই। টঙ্গী- জয়দেবপুর অংশে উন্নয়নের অংশ হিসাবে সেখানে ডবল লাইনে উন্নতি হয়েছে।কক্সবাজার রেল নেটওয়ার্কের আওতায় এসেছে।ঢাকা টু চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার নতুন ট্রেন যুক্ত হবে যা ইতিমধ্যে কোরিয়া থেকে নতুন কোচ আমদানি করা হয়েছে। নারায়ণগঞ্জ ও নরসিংদী কে রেলপথ যুক্ত করে নতুন রেল গাড়ি চালানোর পরিকল্পনা নিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে।
বর্তমানে বাংলাদেশ রেলওয়ে অঞ্চল দুটি বিভাগ চারটি। যাহা অঞ্চল হবে চারটি বিভাগ হবে আটটি। যেমন পশ্চিম অঞ্চলের সদর দপ্তর রাজশাহী বিভাগ দুটি একটি পাকশী অপর টি লালমনিরহাট। রাজশাহী ভেঙে দক্ষিণ অঞ্চলে অঞ্চল গঠিত হবে উত্তরাঞ্চলে হবে একটি।ফরিদপুর হবে দক্ষিণ অঞ্চলের সদর দপ্তর ও এবং খুলনা হবে বিভাগ।রাজবাড়ীতে ওয়ার্কশিট তৈরী হবে। নিশ্চয়ই পাকশী ও রাজশাহীর কিছু টা ক্ষমতা খর্ব হবে এবং ঈশ্বরদী গুরুত্ব হারাবে। সবই উন্নয়নের সার্থে। পদ্না সেতু দেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ স্হাপনা সেই সেতু দিয়ে রেল গাড়ি চলবে এটাই সাভাবিক। রেলের সিডিউল বিপর্যয় ও সময় কমবে এজন্য যশোর টু ভাঙা রেলপথ প্রজেক্ট নিয়েছে রেলপথ মন্ত্রণালয়।যশোর টু ভাঙা রেলপথ তৈরী প্রায় শেষ পর্যায়। ১লা নভেম্বর থেকে সুন্দরবন এক্সপ্রেস ২ নভেম্বর থেকে বেনাপোল এক্সপ্রেস ঈশ্বরদী হয়ে ঢাকা যাবে না। কুষ্টিয়া,রাজবাড়ি ও ফরিদপুর ভাঙা হয়ে পদ্না সেতু দিয়ে ঢাকা যাবে।
মৈত্রী এক্সপ্রেস ও হইত পদ্না দিয়ে ঢাকা রুট হবে যশোর টু ভাঙা লাইনের কাজ শেষ হলে এমন কি সুন্দরবন এক্সপ্রেস ও যশোর রুটে দিতে পারে অথবা নতুন ট্রেন খুলনা টু যশোর নতুন রেলপথে ভাঙা হয়ে ঢাকা যাবে এতে অনেক সময় কমবে।চিত্রা এক্সপ্রেস খুলনা বাসির সার্থেই খূলনা-ঈশ্বরদী-ঢাকা রুটে থাকবে। ফুলতলা(যশোর) টু মোংলা নতুন রেলপথের কাজ প্রায় শেষ পর্যায় আচ্ছা বলেন তো ফুলতলা টু মোংলা রেলপথের কারণে কি খুলনা কে পরিকল্পনা মাফিক ধ্বংস করা হয়েছে না রেলপথ কে উন্নয়ন করা হয়েছে। প্রস্তাবিত পঞ্চগড় টু (ফুলতলা হয়ে)মোংলা ট্রেন চালুর কথা শোনা যাচ্ছে।এই ট্রেনকে খুলনা কে যুক্ত করলে সিডিউল বিপর্যয় হবে ও সময় বেশি লাগবে।মোংলা টু ঢাকা নতুন ট্রেন দিলে নিশ্চয়ই ফুলতলা থেকে খুলনা আবার খুলনা থেকে ফুলতা হয়ে কুষ্টিয়া রাজবাড়ী হয়ে ঢাকা এমন ভ্রমণ রেল যাত্রীদের কাম্য নয়।
যাত্রী চাইবে মোংলা ফুলতলা যশোর হয়ে ভাঙা নতুন রুটে। তেমনি রেলওয়ে উন্নয়নের সার্থে ঈশ্বরদী কিছু টা গুরুত্ব হারিয়েছে কিন্তু সার্বিক ভাবে যাত্রী ও ঈশ্বরদী বাসির জন্য অর্থনৈতিক লাভবান হবে। তার আগে একটু বলে রাখি যমুনা রেল সেতু হচ্ছে। সিরাজগঞ্জ টু বগুড়া নতুন রেলপথ যুক্ত হওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।এই রুট হলে উত্তরাঞ্চলের কিছু ট্রেন ঈশ্বরদী কেন ঘুরতে আসবে তাহলে কি আপনি মনে করবেন ঈশ্বরদী কে পরিকল্পিত ধ্বংস করছে একটি মহল না সবই রেলপথ উন্নয়ন এর সার্থে। এ বার আসা যাক ঈশ্বরদী বা পাবনা বাসির কি সার্থ হাসিল হবে। ঈশ্বরদী জংশনে আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক বানিজ্যিক পণ্য পরিবহন হবে রেলপথে খালাস হবে ঈশ্বরদী জংশনে ইতিমধ্যে মোংলা বন্দর রেল নেটওয়ার্কের আওতায় এসেছে পায়রা বন্দর ও রেলপথ নেটওয়ার্কের আওতায় আসবে তবে সে পর্যন্ত সরকার ও রেলের উন্নয়নের ধারাবাহিকতা থাকবে কি? শুনেছি ঈশ্বরদী লোকসেট আধুনিকায়ন হবে। এবার আশা যাক ঈশ্বরদী পাবনা বাসির ট্রেন দুটি চলে গেল অন্য রুটে সুন্দরবন ও বেনাপোল এক্সপ্রেস। সিরাজগ্জ টু বগুড়া রুট হলে আর ট্রেন যাবে আপনারা হতাশ আমি হতাশ নই। যেতে দেন না সামনে আমি তো ব্যাপক স্বপ্ন দেখছি।
ইতিমধ্যে পাবনা-ঈশ্বরদী-যমুনা সেতু ঢাকা নতুন ট্রেন পেতে যাচ্ছি। রাজশাহী টু ভাঙা পদ্না সেতু মধুমতি এক্সপ্রেস কে বর্ধিত করে ঢাকা দেওয়া হবে এটা আমাদের প্রাপ্তি মেনে নেন। যশোর টু ভাঙা রেলপথ কাজ সমাপ্ত হলে আমি চাই সুন্দরবন ও বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেন যশোর ভাঙা রুটে দিয়ে চলুক এবং কুষ্টিয়া রাজবাড়ীর মানুষ অবহিলিত হোক। এই সময় ঈশ্বরদী অথবা রাজশাহী থেকে মধুমতির রুটে একটি আন্তঃনগর ট্রেন দিয়ে কুষ্টিয়া ও রাজবাড়ী বাসিকে বঞ্চিত হওয়া থেকে পাকশী ও রাজশাহী অফিস রক্ষা করবেন আশা করি। এবার ধরা যাক সিরাজগঞ্জ টু বগুড়া রুটে কাজ শেষে কিছু ট্রেন ঐ নতুন রুটে চলাচল শুরু করল। উত্তরাঞ্চলের মানুষ রেলের সুফল পাচ্ছেন তাতে আমাদের মাথা ব্যাথা হতে পারে না। সমস্যা হবে আমাদের ঢাকার ট্রেন হারাব ও উত্তরাঞ্চলগামী ট্রেন ও হারাব।
এই যাইগায় আমার প্রস্তাবনা সিডিউল যেহুতু বিপর্যয় হবে না এই সুযোগে পঞ্চগড় টু সান্তাহারে চলাচলকারি দোলনচাঁপা এক্সপ্রকে পাবনা ঢালারচর পর্যন্ত বর্ধিত করা হোক এতে উত্তরাঞ্চলের মানুষ এই রুটে ঢাকা ও দক্ষিণ অঞ্চলে যাতায়াত সহজ হবে। এবং বুড়িমারী টু সান্তাহার চলাচল কারি করতোয়া এক্সপ্রেস কে ঈশ্বরদী পর্যন্ত বর্ধিত করা হোক এতে রেলের অর্থ বাচবে এর কারণ ঈশ্বরদী লোকসেটে দোলনচাঁপা ও করতোয়া এক্সপ্রসে চিকিৎসা চলবে। সময় ও চাহিদা বিবেচনা করে পাবনা টু ঢাকা ট্রেনের আপ ও ডাউন হিসাব করে নতুন আর ও একটি ট্রেন দেওয়া হোক এটা আমি চাই কারণ সিরাজগ্জ টু বগুড়া লাইন হলে সিডিউল বিপর্যয় থাকবে না এজন্য ঈশ্বরদী টু ঢাকা বঙ্গবন্ধু সেতু হয়ে ট্রেন ঈশ্বরদী-পাবনা বাসি তখন চেতে পারেই। আবার উত্তরাঞ্চল থেকে একজোড়া নতুন ট্রেন ঈশ্বরদী হয়ে পুড়াদহ রাজবাড়ী ফরিদপুর ভাঙা পদ্না সেতু দিয়ে ঢাকা দেওয়া হলে দক্ষিণ ও উত্তরাঞ্চলের যোগাযোগে সেতু বন্ধন হবে ঈশ্বরদী জংশন। যেহুতু পায়রা বন্দর পর্যন্ত রেলপথ নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে সুতরাং ঈশ্বরদী বাসির হতাশ হওয়ার কিছু নেই।রাজশাহী হতে নিশ্চয়ই পায়রা বন্দর ট্রেন চালু হতেই পারে। মদ্দা কথা হচ্ছে রুপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কারণে নিরাপত্তার সার্থে তাছাড়া যেহুতু হার্ডিংঞ্জ ব্রীজের আয়ুস্কাল শেষ। একটি ব্রীজ তৈরী করতে হবে। এখন দেখার বিষয় কর্তৃপক্ষ হার্ডিংঞ্জ ব্রীজের স্হানে নতুন একটি ব্রীজ নির্মাণ করবে নাকি