এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করে জেলে ঢোকানো হচ্ছে। একই সময় সংলাপের চিঠি পাঠিয়ে সরকারের নাটক ও তামাশার অংশীদার হলো ইসি। কার্যালয়ে কেউ প্রবেশ করতে পারছে না জেনেও চিঠি দিতে লোক পাঠানো হয়েছে।’
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতির অগ্রগতিসহ সার্বিক বিষয়ে আলোচনাসভায় অংশ নেওয়ার জন্য ওই আমন্ত্রণপত্র পাঠিয়েছিল ইসি।বিএনপির মহাসচিব বরাবর পাঠানো আমন্ত্রণপত্রে বলা হয়েছে, আগামী ৪ নভেম্বর বিকেল ৩টায় নির্বাচন কমিশন ভবনের সম্মেলনকক্ষে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবীবুল আউয়ালের সভাপতিত্বে আলোচনাসভা হবে।
গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশ পণ্ড হওয়ার পর থেকে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের ফটক বন্ধ করে পুলিশ পাহারা বসায়। এ ছাড়া বন্ধ করে দেওয়া হয় কার্যালয়ের পাশের ফুটপাত দিয়ে সাধারণ মানুষের চলাচল।বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ও সড়ক বিভাজকে প্রচুর ব্যানার-ফেস্টুন টাঙানো ছিল।বৃহস্পতিবার সকালে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে গিয়ে দেখা যায়, কার্যালয়ের ঠিক সামনে ও চারপাশের বড় ব্যানারগুলো নেই। গত চার দিনের মতোই আজও পুলিশ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের দুই পাশে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে পাহারা দিচ্ছে। কার্যালয়ের সামনের ফুটপাত দিয়ে সাধারণ মানুষকে চলাচল করতে দেওয়া হচ্ছে না।
কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের ভেতরে কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে পাঠানো বিভিন্ন চিঠি মাঝেমধ্যে কলাপসিবল গেটের ভেতরে রাখা চেয়ারে রেখে যাচ্ছেন পিয়নরা। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রাতে সিটি করপোরেশনের লোকজন ব্যানারগুলো নামিয়ে নিয়েছে।কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের চারদিকে সিসিটিভি ক্যামেরাগুলোও নতুনভাবে বসানো হয়েছে।