ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার ভগবান নগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আবুল হাসান সরকারি চাকুরী দেওয়ার কথা বলে ৪ জন চাকুরী প্রত্যাশীর নিকট থেকে ৪৮ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে মর্মে অভিযোগ উঠেছে।পাওনা টাকা ফেরত চেয়ে পাওনাদাররা তাকে ঝিনাইদহ জজ কোর্টের বিজ্ঞ আইনজীবী মোঃ বিপ্লব হোসেনের মাধ্যমে একটি উকিল নোটিশ ও প্রেরন করেছে।এখানে উল্লেখ্য যে শিক্ষক আবুল হাসান কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তর খামারবাড়ি ঢাকাতে চাকুরী দেওয়ার কথা বলে মোঃ তাজউদ্দিন ,পিতা: নাজমুল হক, সাং-আড়মুখী,মোঃ আহসান হাবীব,পিতা: উবাইদুল হক, সাং-আড়মুখী,মোঃ তুহিন শেখ,পিতাঃ মোঃ আসলাম শেখ, সাং- হুদা পুটিয়া,মো: রাকিব হোসেন, পিতাঃ ইয়াকুব বিশ্বাস, সাং- নিজ পুটিয়া উভয়ের থানা/জেলা ঝিনাইদহ ।এই ৪ জন চাকরি প্রার্থীর নিকট থেকে তিনি ১২ লক্ষ টাকা করে মোট ৪৮ লক্ষ টাকার একটি চুক্তিতে আবদ্ধ হয় এবং আগ্রীম হিসাবে ৩৪ লক্ষ টাকা গ্রহন করেন আবুল হাসান এবং বাকী ১২ লক্ষ টাকা চাকুরি হওয়ার পর দিতে হবে মর্মে প্রার্থীদের সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়।কিন্তু টাকা গ্রহনের পর থেকেই চাকুরী না দিয়ে দিনের পর দিন ঘোরাতে থাকে আবুল হাসান।এক পর্যায়ে অন্য কোন উপায়ান্তর না পেয়ে পাওনা টাকা ফেরত চাইলে শিক্ষক আবুল হাসান পাওনাদারদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে তাড়াইয়া দেন। সরকারি চাকুরীজিবী হয়ে ৩০০ টাকার নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে চুক্তি নামায় স্বাক্ষর করে চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারনা করে টাকা আত্নসাতের বিষয়টি নিয়ে শিক্ষক আবুল হাসানের সাথে কথা বলতে গেলে তিনি বলেন আমি স্বাক্ষর করি নাই, আমার স্বাক্ষর জাল করা হয়েছে।তার সাথে মোজাম্মেল হক নামে আরেক শিক্ষক প্রতারনা করেছে বলে তিনি জানান।শিক্ষক আবুল হাসান সহ শিক্ষকদের অনিয়ম দূর্নীতির বিষয়ে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আনন্দ কিশোর সাহা সাংবাদিকদের জানান ইতিমধ্য আমি মোজাম্মেল হক নামে একজন শিক্ষককে অব্যাহতি দিয়েছি । অভিযোগ পেলে অন্যান্যদের বিরুদ্ধে ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করব।
ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট