গত রাত ৬ নভেম্বর -২৩ রোজ (সোমবার) নাটোর জেলার বড়াইগ্রাম থানার রাজাপুর এলাকার পূর্ণ কলস গ্রামে মৃত হাজী- ইলাহী বক্স লারি এর পুত্র হাজী-নুর মোহাম্মদ এর বাড়িতে আনুমানিক রাত ১-২টার মধ্যে চুরির ঘটনা টি ঘটে।
জানা যায় দীর্ঘদিন প্রবাসী জীবন যাপনে তার গচ্ছিত দশ ভরি স্বর্ণের গহনা স্ত্রী- দুই কন্যা সন্তানের জন্য জুমিয়েছিলেন। নুর মোহাম্মদের স্ত্রী মোছাঃ শাহানা খাতুন অদেখা বিশ্ব প্রতিনিধি কে জানান আমরা রাত ১২.৪০ মিনিটের সময় পর্যন্ত জেগে ছিলাম। আমার স্বামী রুপপুর আনুবিক প্রকল্পে কাজে যাবে এজন্য আমি রাত সাড়ে তিন টায় রান্না করতে উঠলে দেখতে পাই দরজা বাহির থেকে আটকানো। তখন আমাদের ধারণা হয় আমাদের বাড়িতে কিছু একটা হয়েছে। তখন প্রতিবেশিদের ডাকা ডাকি করি এবং আমরা যে রুমে থাকি ঐ রুম থেকে আলাদা বারান্দা দিয়ে বাহিরে গিয়ে মানুষ ডাকা ডাকি করে। ওয়াল টপকিয়ে বাড়ির ভিতরে ডুকে দেখতে পাই । আমাদের বারান্দার গেট খোলা প্রতিদিনের মত গত রাতে তালা দেওয়া ছিল না। যে রুমে গহনা ও টাকা ছিল ঐ রুমের দরজা তালা দেওয়ার কপজা কৌশলে খুলে দরজা খুলেছে কিন্তু তালা ভাঙ্গে নাই। ঐ রুমেই আলমারির তালার চাবি ডেসিং টেবিলের ডয়ারে ভিতর ছিল। ওখান থেকেই চাবি নিয়ে আলমারি খুলে আমাদের কষ্টের গচ্ছিত সম্পদ প্রায় দশ ভরি সোনার গহনা ও নগদ আট হাজার টাকা নিয়ে গেছে বলেন আর কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন।
তিনি আরও বলেন আমার দুটি কন্যা সন্তান ছোট মেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী রাজশাহীতে,বড় মেয়ে অনার্স ফাইনাল পরীক্ষা দিয়ে শ্বশুরবাড়িতে তাই ঐ রুমে কেহ ছিল না। শাহানা খাতুন বলেন আমাদের সিতাহাড় একটি পৌনে দুই ভরি স্বর্ণের,চাপমালা একটি এক ভরি পাচঁ আনা,দুই জোড়া চুরি যা দুই ভরি,ঝুমকা দুই জোড়া দুই ভরি,চেইন তিন টি দেড় ভরি,তিনটি আংটি বারো আনা,৬আনার দুল এক জোড়া এবং নগদ আট হাজার টাকাসহ যার মোট আনুমানিক মূল্য দশ লক্ষ্য টাকা। কিন্তু রুমে অন্য কোন কিছু নেই নি। খবর পেয়ে রাজাপুর বাজার এলাকার টহলরত পুলিশ এস, আই, কামরুজ্জামান ঘটনা স্হলে পরিদর্শন করেন এবং বলেন আমরা চুরির বিষয়টি জেনেছি। থানায় গিয়ে সাধারণ ডায়েরি করার পরামর্শ দিয়েছি। পরে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত জানা যায় নুর মোহাম্মদ বড়াইগ্রাম থানায় গিয়েছ। প্রকাশ থাকে যে অদেখা বিশ্ব ঈশ্বরদী প্রতিনিধি মোঃ রাব্বি”র বড় দুলাভাই – ভুক্তভোগী হাজী-নুর মোহাম্মদ।
ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট