বিএনপি নেতাদের আধুনিক আই ইনস্টিটিউটটে গিয়ে চোখের চিকিৎসার পরামর্শ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, উন্নয়ন দেখতে না পাওয়া বিএনপি নেতাদের চোখের নয়, তাদের মনের দোষ। যারা চোখ থাকিতে অন্ধ তাদের কী বলব। আমি তাদের একটা পরামর্শ দিতে পারি। আমি ঢাকায় আধুনিক আই ইনস্টিটিউট করেছি। চোখ থাকিতে যারা অন্ধ, তারা সেই আই ইনস্টিটিউটে গিয়ে চোখটা দেখিয়ে আসতে পারেন। মাত্র দশ টাকা টিকিট লাগে। আসলে তাদের চোখের দোষ না, এটা তাদের মনের দোষ।
আজ শনিবার (১১ নভেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেলপথ উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, গাড়িতে আগুন দিয়ে যারা মানুষ মারতে পারে সেইসব দুর্বৃত্তদের চোখ না, মনই অন্ধকার। কাজেই এদের ব্যাপারে সবাইকে সাবধান থাকতে হবে। তারা শুধু ধ্বংস করতে জানে, সৃষ্টি করতে না। আমরা সৃষ্টি করি আর তারা ধ্বংস করে।
শেখ হাসিনা বলেন, আমার দেশ আমার চিন্তা, কী করলে দেশের মানুষের মঙ্গল হবে, সেভাবে কাজ করব। ওই দু-একজন বাইরের থেকে এসে আমাদের ওপর খবরদারি করবে, অনেকে পরামর্শ দেবে, সেটা আর হবে না। আজ তাদেরই অর্থে আমরা যমুনা নদীর ওপর রেল সেতু করে দিচ্ছি। কক্সবাজারের সঙ্গে রেল যোগাযোগ স্থাপন করায় দেশের মানুষ এখন গর্ববোধ করছে।
আজকে কক্সবাজার রেল যোগাযোগের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। এই দিনটি গর্বিত হওয়ার দিন। দোহাজারী-কক্সবাজার রেললাইনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ব্যক্তিগতভাবে উপস্থিত থাকতে পেরে সত্যিই খুব খুশি হয়েছি। আমি রেলপথ উদ্বোধন করে আমার প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেছি। এটা এ অঞ্চলের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল। আজ সেই দাবি পূরণ হয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, পঞ্চগড় থেকে কক্সবাজার অথবা রাজশাহী থেকে কক্সবাজার, দক্ষিণাঞ্চল সুন্দরবন থেকে কক্সবাজার, এমনকি গোপালগঞ্জ-ফরিদপুর- অর্থাৎ সমগ্র বাংলাদেশ থেকেই যাতে সহজে কক্সবাজার আসা যায় সেই পদক্ষেপও আমরা নেব। এই যোগাযোগগুলো সম্পন্ন হলে আমাদের পর্যটনের ক্ষেত্রে একটা বিরাট পরিবর্তন আসবে বলে আমি বিশ্বাস করি।
অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন রেলমন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) কান্ট্রি ডিরেক্টর এডিমন গিন্টিং এবং রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মো. হুমায়ুন কবীর। এ সময় তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদসহ বেশ কয়েকজন মন্ত্রী, আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতারা এবং অন্যান্য গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ রেলওয়ের কার্যক্রম এবং দোহাজারী-কক্সবাজার রেললাইন প্রকল্পের ওপর একটি ভিডিও প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। এর আগে প্রধানমন্ত্রী রেলস্টেশনে পৌঁছলে স্থানীয় শিল্পীদের ঐতিহ্যবাহী নৃত্য পরিবেশনের মাধ্যমে তাঁকে স্বাগত জানানো হয়।
ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট