তিনি বলেন, ঘূর্ণিঝড় মিধিলি এখন উপকূল অতিক্রম করছে। এর অগ্রভাগ আজ দুপুর ১২টার দিকে উপকূল স্পর্শ করে। ঘূর্ণিঝড়ের কেন্দ্র বা মূল অংশও এরই মধ্যে উপকূল অতিক্রম করা শুরু করেছে। সন্ধ্যা নাগাদ অতিক্রম শেষ হয়ে যেতে পারে।
এদিকে ঘূর্ণিঝড়ের সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি মোকাবেলায় উপকূলের জেলাগুলোতে আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে। স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্যরা মাইকিং করে বাসিন্দাদের আশ্রয় কেন্দ্রে যাওয়ার আহ্বান জানাচ্ছেন। বাগেরহাটের শরণখোলায় দুপুর ১২টা পর্যন্ত বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে প্রায় দুই হাজার নারী-পুরুষ আশ্রয় নিয়েছেন।
লক্ষ্মীপুরে ২৮৯টি স্থায়ী ও অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রয়েছে। ঘূর্ণিঝড় চলাকালীন চিকিৎসাসেবা নিশ্চিতের জন্য কোস্ট গার্ডের উদ্ধারকারী নৌযানসহ ৬৪টি মেডিক্যাল টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
বরগুনায় সকাল থেকে মুষলধারে বৃষ্টি হচ্ছে ও দমকা হাওয়া বইছে। বৃদ্ধি পেয়েছে বিভিন্ন নদ-নদীর পানি।
আশ্রয়কেন্দ্র না থাকায় বিপাকে আছেন বঙ্গোপসাগরের মোহনার দ্বীপ চরকাশেমের বাসিন্দারা। প্রায় তিন হাজার একর আয়তনের দ্বীপে দুই শতাধিক পরিবারের বসবাস। এখানে নেই কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। ফলে গড়ে ওঠেনি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র।
চরকাশেমের বাসিন্দা হাওয়া বেগম বলেন, ‘ঝড়-তুফানে আমাগো এইহানে (এখানে) থাকতে হয়। সিডর, আইলা বইন্যারকালে পোলাপান লইয়া কেওড়াগাছে আছিলাম। চরে কোনো ওয়াপদা নাই, জোয়ারের পানিতে আমাগো বাড়িঘর তলাইয়া যায়।’
এদিকে ঘূর্ণিঝড়ের কারণে ঢাকার সদরঘাট থেকে দক্ষিণাঞ্চলগামী নৌযান চলাচল বন্ধ রয়েছে। এ ছাড়া ভোলায় মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদী উত্তাল থাকায় দুপুর ১২টা থেকে ভোলা-লক্ষ্মীপুর, ভোলা-বরিশাল ও ভোলা-ঢাকা রুটে সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।