পুষ্পস্তবক অর্পণের পর প্রধানমন্ত্রী কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন। সেনাবাহিনী, নৌ ও বিমান বাহিনীর একটি চৌকস দল গার্ড অব অনার প্রদান করে।এ সময় বিউগলে করুণ সুর বেজে ওঠে। পরে প্রধানমন্ত্রী শিখা অনির্বাণ প্রাঙ্গণে রাখা দর্শনার্থী বইয়ে স্বাক্ষর করেন।
এর আগে শিখা অনির্বাণে পৌঁছালে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ, নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল এম. নাজমুল হাসান, বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল শেখ আবদুল হান্নান এবং সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার লেফটেন্যান্ট জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান।
পুষ্পস্তবক অর্পণের পর প্রধানমন্ত্রী সশস্ত্র বাহিনী বিভাগে যান। সেখানে তাঁর নিরাপত্তা উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক এবং তিন বাহিনীর প্রধানরা তাঁর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
শেখ হাসিনা সশস্ত্র বাহিনী বিভাগে পৌঁছালে পিএসও এবং সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের মহাপরিচালকরা তাঁকে অভ্যর্থনা জানান।
১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে এই দিনে সেনাবাহিনী, নৌ ও বিমান বাহিনীর সমন্বয়ে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী গঠিত হয় এবং তাঁরা পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর ওপর সর্বাত্মক আক্রমণ শুরু করে, যা মুক্তিযুদ্ধের বিজয়কে ত্বরান্বিত করে।
দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ঐতিহাসিক এই দিনটি প্রতিবছর সশস্ত্র বাহিনী দিবস হিসেবে পালন করা হয়।