স্কুল প্রতিষ্ঠার তিন বছর আগে জালিয়াতির মাধ্যমে নিয়োগ পাওয়া এক স্কুল শিক্ষকের তদন্ত শুরু হচ্ছে। পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ ও এলাকাবাসির অভিযোগের প্রেক্ষিতে ঝিনাইদহ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস এই তদন্তের উদ্যোগ নেয়। আজ বৃহস্পতিবার তিনজন উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের নেতৃত্বে গঠিত তদন্ত কমিটি ওই শিক্ষকের নিয়োগসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র যাচাই বাছাই করে প্রতিবেদন দাখিল করবেন। তদন্ত কমিটি সুত্রে জানা গেছে, ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডু উপজেলার চাঁদপুর জোয়ারদার পাড়া সরকারী প্রাইমারি স্কুলে শাহনাজ পারভীন শেফালী নামে এক শিক্ষক জাল নিয়োগ দিয়ে চাকরী করে যাচ্ছেন। বেসরকারী হিসেবে স্কুলটি ২০১০ সালের ২২ ডিসেম্বর প্রতিষ্ঠা করা হলেও ওই শিক্ষিকা বয়স কমানোর জন্য ২০০৭ সালে নিজেকে নিয়োগ দেখিয়ে চাকরী করে যাচ্ছেন। এ নিয়ে এলাকাবাসি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে লিখিত অভিযোগ করলে বিষয়টি তদন্তের উদ্যোগ গ্রহন করা হয়। স্কুলের প্রধান শিক্ষক মোস্তাফিজুর রহমান মুকুল জানান, স্কুলের জমি রেজিষ্ট্রি হয় ২০১০ সালের ২২ ডিসেম্বর। ওই তারিখেই স্কুলটি প্রতিষ্ঠা দেখানো হয়। স্কুলের শিক্ষকদের যোগদানের তারিখ যথাক্রমে ২০১০ সালের ২৭ ডিসেম্বর ও ২০১১ সালের ৪ সেপ্টম্বর। ফলে ২০০৭ সালের নিয়োগ সঠিক নয়। গ্রামবাসি নুরুল ইসলাম জর্দ্দার জানান, ২০০৭ সালে চাঁদপুর জোয়ারদার পাড়ায় সরকারী বা বেসরকারী স্কুলের কোন অস্তিত্ব ছিল না। ২০১০ সালে স্কুলটি প্রতিষ্ঠা করার পর ফজলুর রহমান মালিতাকে সভাপতি করা হয় এবং তিনিই শিক্ষক নিয়োগ দেন। অথচ শাহনাজ পারভীন শেফালীর নিয়োগে নুরু নামে জনৈক ব্যক্তির সভাপতি দেখানো হয়েছে। এ ব্যাপারে হরিণাকুন্ডু উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আব্দুর রহমান লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত হচ্ছে। তদন্তের পর কাগজপত্র বাছাই করে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট