আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. তরিফুল নেওয়াজ কবির গতকাল কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিলে তা বাংলাদেশের দিকে আসার আশঙ্কা কম।
এটি ভারতের দক্ষিণ অন্ধ্র উপকূল দিয়ে অতিক্রম করতে পারে। এরপর তা অনেকটাই দুর্বল হয়ে বৃষ্টি আকারে বাংলাদেশে আসতে পারে। এর ফলে ৬ ডিসেম্বরের পর ঢাকা, সিলেট, চট্টগ্রাম, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের কোনো কোনো জায়গায় বৃষ্টি হতে পারে।’
এটি আরো পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হতে পারে। এটি গতকাল সন্ধ্যা ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে এক হাজার ৫১৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার থেকে এক হাজার ৪৫০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে এক হাজার ৪৪০ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে এক হাজার ৪২০ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল। নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৪০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে।
তরিফুল নেওয়াজ কবির বলেন, ‘সাগরে নিম্নচাপের কারণে গরমের অনুভূতি কিছুটা বেড়েছে। কারণ সাগরে এ রকম সিস্টেম তৈরি হলে বাতাসে জলীয়বাষ্প আসে। ফলে তাপমাত্রা কিছুটা বাড়ে। চলতি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে এটি পুরোপুরি কেটে যেতে পারে। তখন বাতাসের আর্দ্রতা কমে গিয়ে ডিসেম্বরের ১০-১২ তারিখের দিকে শীত নেমে আসবে।’
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, আজ শনিবার শেষরাত থেকে আগামীকাল রবিবার সকাল পর্যন্ত দেশের উত্তরাঞ্চল ও নদী অববাহিকার কোথাও কোথাও হালকা কুয়াশা পড়তে পারে। অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকলে বাড়তে পারে রাতের তাপমাত্রা। গতকাল দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল চট্টগ্রামের সন্দ্বীপে ৩২.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল কুড়িগ্রামের রাজারহাটে ১৪.৭ ডিগ্রি।