মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আগামী বছর প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান পার্টির হয়ে আবার লড়তে পারেন সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এর আগে ট্রাম্পের প্রচার-প্রচারণার কাজে ব্যবহার করা একটি ওয়েবসাইটে তিনি বলেছেন, ন্যাটোর উদ্দেশ্য ও অভিযানগুলো গোড়া থেকে পুনর্মূল্যায়নের যে কাজ আমার প্রশাসনের আমলে হাতে নিয়েছিলাম, তা শেষ করতে হবে। তাঁর বক্তব্যটি ঘিরে ওয়াশিংটনের ইউরোপীয় মিত্রদের মধ্যে ব্যাপক অনিশ্চয়তা ও শঙ্কা দেখা দিয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে, ট্রাম্প ফের প্রেসিডেন্ট হলে যুক্তরাষ্ট্রের ঐতিহ্যবাহী পররাষ্ট্রনীতি কি পরিবর্তন হবে।
ইউরোপে শান্তি বজায় রাখতে এবং তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়ন থেকে সুরক্ষিত থাকতে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ন্যাটো (নর্থ আটলান্টিক ট্রিটি অর্গানাইজেশন) গড়ে তোলা হয়েছিল। এর মূল উদ্দেশ্যটি ‘পঞ্চম অনুচ্ছেদ’ নামে পরিচিত।
ন্যাটো নিয়ে ট্রাম্প কী চান, তা জানতে তাঁর ঘনিষ্ঠজনদের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন ইউরোপের বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের সদস্যরা। এ নিয়ে জানাশোনা আছে, এমন দু’জন জানিয়েছেন, ওয়াশিংটনে নিয়োজিত ফিনল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত মিক্কো হাউতালা সরাসরি ট্রাম্পের সঙ্গে দেখা করেছেন। ন্যাটোর নতুন সদস্য হিসেবে তাঁর দেশ কতটা মূল্য রাখে, তা বোঝাতে চেয়েছেন।
ন্যাটো ইস্যু নিয়ে বিগত কয়েক মাসে নিউইয়র্ক টাইমসের কথা হয়েছে সাবেক ও বর্তমান বেশ কয়েকজন ইউরোপীয় কূটনীতিকের সঙ্গে। পরিচয় প্রকাশ না করার শর্তে তারা বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রে ইউরোপের বিভিন্ন দেশের দূতাবাস ও সরকার বড় শঙ্কার মধ্যে রয়েছে। তাদের ধারণা, ট্রাম্প ক্ষমতায় এলে শুধু ইউক্রেনেই মার্কিন সহায়তা বন্ধ হবে না, আরও বৃহৎ পরিসরে ইউরোপ থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবে যুক্তরাষ্ট্র। একই সঙ্গে ন্যাটো থেকেও নিজেদের গুটিয়ে নেবে তারা।
ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট