জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা (এনএসআই) সংস্থার সহায়তায় র্যাব-১-এর একটি দল অভিযানটি পরিচালনা করে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে আটক ৯ জনের পরিচয় জানানো হয়নি।
অভিযান শেষে রাত সাড়ে ১২টার দিকে এক সংবাদ সম্মেলনে র্যাব-১-এর অধিনায়ক লে. কর্নেল মুহাম্মদ মোসতাক আহমদ জানান, মঙ্গলবার ভোরে ট্রেনে আগুনের ঘটনার পর রেলস্টেশনকেন্দ্রিক চিহ্নিত অপরাধীদের তালিকা ধরে সন্দেহভাজনদের আটকে অভিযানে নামে র্যাব। এরই ধারাবাহিকতায় ৯ জনকে আটক করা হয়েছে।
আটকরা কেউ সরাসরি নাশকতার সঙ্গে জড়িত কি না জানতে চাইলে এই র্যাব কর্মকর্তা বলেন, ‘তাদের অনেকের নামে মামলা আছে। আমরা গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে তাদের গ্রেপ্তার করেছি।
তারা সন্দেহভাজন নাশকতাকারী। জিজ্ঞাসাবাদে নিশ্চিত হতে পারব।’
আটককৃতরা বিভিন্ন ধরণের নাশকতার সঙ্গে জড়িত ছিল, সে হিসেবে তাদের নামে মামলা আছে জানিয়ে লে. কর্নেল মোসতাক বলেন, বিশেষ করে রেলওয়েকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন অপরাধ করে তারা।
এর আগে বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনে আগুন লাগার ঘটনায় চারজনকে শনাক্ত করা হয়েছে বলে জানান র্যাব-৩-এর অধিনায়ক।লেফটেন্যান্ট কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘ট্রেনে আগুন লাগার ঘটনায় বেশ কিছু ক্লু ও নাম পেয়েছি। এর মধ্যে চারজনকে শনাক্ত করা হয়েছে। যাদের মধ্যে দুজন বিরোধীদলের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। বাকি দুজন ভাসমান ব্যক্তি। শনাক্তকারীদের নাম তদন্তের স্বার্থে প্রকাশ করছি না।
তিনি আরো বলেছেন, ‘হরতাল-অবরোধে ট্রেনে আগুন জ্বালিয়ে নাশকতাকে কেন্দ্র করে রাজধানীর কমলাপুর রেলস্টেশনে বিশেষ নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। এ ছাড়া গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে বিশেষ নিরাপত্তা পেট্রল প্রস্তুত রাখা হয়েছে।’ সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিতে সাদা পোশাকে গোয়েন্দা নজরদারি অব্যাহত আছে বলেও জানান তিনি।
গত ১৮ ডিসেম্বর রাত ১১টায় নেত্রকোনা থেকে মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনটি ঢাকার উদ্দেশে রওনা হয়। কিন্তু ১৭ ডিসেম্বর ভোর পৌনে ৫টার দিকে ঢাকার বিমানবন্দর স্টেশন এলাকায় ট্রেনটিতে আগুন দেওয়া হয়। আগুন দেওয়ার পর ট্রেনটি প্রায় ১২ কিলোমিটার দূরে গিয়ে ঢাকার তেজগাঁও রেলস্টেশন এলাকায় থামে। আগুনে ট্রেনের তিটি বগি সম্পূর্ণ পুড়ে যায়। পরে একটি বগি থেকে চারজনের লাশ উদ্ধার করা হয়।