একজন সাংবাদিক মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথু মিলারকে বলেন, ‘আপনি যখন বলেন, বাংলাদেশের নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু ছিল না, তখন এর অন্তর্নিহিত অর্থ আপনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার টানা চতুর্থ মেয়াদে ক্ষমতায় আসাকে স্বীকৃতি দেন না?’ এমন ভাবনা নাকচ করে ম্যাথু মিলার দুবার বলেন, ‘না।’
ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশে নির্বাচনী রাজনৈতিক সহিংসতাগুলোর স্বচ্ছ ও বিশ্বাসযোগ্য তদন্ত করতে বাংলাদেশ সরকারকে উৎসাহিত করছে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
ব্রিফিংয়ে এক সাংবাদিক মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্রকে বলেন, যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, বাংলাদেশের নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়নি। বাংলাদেশে গণতন্ত্রের অবক্ষয় এবং কয়েক হাজার বিরোধী সদস্যকে কারারুদ্ধ করার পাশাপাশি ‘জালিয়াতি নির্বাচনের’ প্রতিক্রিয়ায় যুক্তরাষ্ট্র কী পদক্ষেপ নেবে?
জবাবে ম্যাথু মিলার বলেন, কয়েক হাজার বিরোধী রাজনৈতিক সদস্যকে গ্রেপ্তার এবং নির্বাচনের দিন অনিয়মের খবরে আমরা উদ্বিগ্ন। নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়নি বলে অন্যান্য পর্যবেক্ষকরা যে মতামত দিয়েছেন তার সঙ্গে আমরাও একমত।
মিলার বলেন, সব দল নির্বাচনে অংশ না নেওয়ায় আমরা দু:খিত।আমরা নির্বাচনের সময় এবং এর আগের মাসগুলোতে সংঘটিত সহিংসতার নিন্দা জানাই। আমরা এখন বাংলাদেশ সরকারকে সহিংসতার প্রতিবেদনগুলি বিশ্বাসযোগ্য এবং স্বচ্ছভাবে তদন্ত করতে, অপরাধীদের জবাবদিহি করতে উত্সাহিত করছি।
ম্যাথু মিলার বলেন, ‘আমরা সকল পক্ষকে রাজনৈতিক সহিংসতা প্রত্যাখ্যান করার আহ্বান জানাচ্ছি।’
ব্রিফিংয়ে পাকিস্তানের নির্বাচন নিয়ে প্রশ্নেও বাংলাদেশ প্রসঙ্গ আসে।রাজনৈতিক গ্রেপ্তারের প্রসঙ্গ তুলে সাংবাদিকরা মার্কিন মুখপাত্রের কাছে জানতে চান, নির্বাচনের পর বাংলাদেশের মতো পাকিস্তান নিয়েও কি শুধু বলবেন, নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু না হওয়ায় আমরা দু:খিত।
জবাবে মুখপাত্র বলেন, নীতিগত অবস্থানের কারণে যুক্তরাষ্ট্র সারাবিশ্বেই অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের কথা বলে।