1. fauzursabit135@gmail.com : Fauzur Rahman Sabit : Fauzur Rahman Sabit
  2. sizulislam7@gmail.com : sizul islam : sizul islam
  3. mridha841@gmail.com : Sohel Khan : Sohel Khan
  4. multicare.net@gmail.com : অদেখা বিশ্ব :
সোমবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯:৩৭ পূর্বাহ্ন

অস্ত্র ও স্বর্ণ পাচারে মহেশপুর সীমান্তে একাধিক সিন্ডিকেট

ঝিনাইদহ জেলা প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২৫ জানুয়ারী, ২০২৪
মহেশপুর উপজেলার বাঘাডাঙ্গা গ্রামে এক চোরাকারবারীর গুলিতে দুই ব্যক্তি নিহত হওয়ার পর সীমান্ত এলাকায় এখন প্রধান আলোচনার বিষয় চোরাচালান সিন্ডিকেট। দীর্ঘদিন ধরে পুলিশ ও বিজিবির দুর্বল নজরদারীর কারণে সীমান্ত উপজেলা মহেশপুরে বিভিন্ন গ্রামে চোরাচালান সিন্ডিকেটের শক্তিশালী নেটওয়ার্ক গড়ে উঠেছে।
এই সিন্ডিকেট মুলত ভাড়ায় অস্ত্র আনা নেয়া, সোনার বার ও ধূড় পাচার করে থাকে। আর এই কাজে প্রধান সহযোগী হলো সীমান্তে বসবাসকারী কতিপয় জনপ্রতিনিধি, বিজিবির সোর্স ও প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতারা। বাঘাডাঙ্গা গ্রামে শামিম হোসেন ও মন্টু মিয়া নামে দুই ব্যক্তি নিহত হওয়ার নেপথ্যে ছিল চোরাকারবারীর টাকা ভাগাভাগী নিয়ে দ্বন্দ। তারা মুলত বাঘাডাঙ্গা গ্রামের মতিয়ার রহমান মতির নিয়ন্ত্রনে থেকে পাচার কাজে নিয়োজিত ছিল বলে অভিযোগ।
নেপা ইউনিয়নের ৮ নং বিটের এসআই মোঃ জমির হোসেন বৃহস্পতিবার বিকালে জানান, তরিকুল ইসলাম আকালে ও রফিকের মধ্যে প্রায় ৬ মাস ধরে চোরাচালানের টাকা ভাগাভাগী নিয়ে দ্বন্দ চলে আসছিল। সীমান্তে তাদের একটি সিন্ডিকেট আছে। এই বিরোধের জের ধরে দেড় মাস আগে নিহত শামিমকে কুপিয়ে আহত করেছিল ঘাতক আকালে।
বুধবার সকালে নিহত শামিমের পিতা শামসুল ঘাস কাটতে মাঠে যাওয়ার সময় আকালে ও তার ভাই ইব্রাহীম এবং ভগ্নিপতি আব্দুল জলিল তাকে গালিগালাজ করে। বিষয়টি বাড়ি এসে জানালে শামিম, চাচা মন্টু মন্ডল ও পিতা শামসুল দেশী অস্ত্র নিয়ে আকালের বাড়িতে যায়। এ সময় আকালে তার কাছে থাকা অবৈধ নাইনএমএম পিস্তল (৭.৬২) দিয়ে গুলি চালয়ে চাচা মন্ডু মন্ডল ও ভাতিজা শামিমকে খুন করে পালিয়ে যায়। গুলিবিদ্ধ হয় শামসুল মন্ডল।
স্থানীয় ইউপি মেম্বর ও বাঘাডাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা ওবাইদুল ইসলাম জানান, এ ঘটনার পর পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তিনটি গুলির খোসা উদ্ধার করেছে। তরিকুল ইসলাম আকালে সম্ভবত ভারতে পালিয়ে যেতে পারে। বিষয়টি নিয়ে মহেশপুর থানার ওসি মাহবুবুর রহমান জানান, প্রাথমিক ভাবে নিশ্চিত হওয়া গেছে হামলাকারী ও নিহত উভয় পাচারকারী হিসেবে পরিচিত। টাকা ভাগাভাগী নিয়ে তারা দ্বন্দে জড়িয়ে খুন হয়েছে। তিনি বলেন, এজাহার হাতে পেলে এ ঘটনার সঙ্গে আরো কারা কারা সম্পৃক্ত তা জানা যাবে।
এদিকে মহেশপুর সীমান্তের বিভিন্ন গ্রামে একাধিক সিন্ডিকেট রয়েছে। বিজিবির সোর্স পরিচয় দিয়ে কতিপয় ব্যক্তি এই চোরাচালান সিন্ডিকেট পরিচালনা করে বলে তথ্যানুসন্ধানে উঠে এসেছে। বৃহস্পতিবার সীমান্তের বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে জানা গেছে, মহেশপুরের ৯টি গ্রাম একেবারেই সীমান্ত ঘেষা হওয়ায় সেখান দিয়ে সোনা, অস্ত্র, গরু ও ধূড় পাচার করা হয়। গ্রামগুলির মধ্যে রয়েছে বাঘাডাঙ্গা, পলিয়ানপুর, যাদবপুর, জুলুলী, লেবুতলা, মরকধ্বজপুর, শ্যামকুড়, রায়পুর ও কচুয়ারপোতা। এরমধ্যে মকরধ্বজপুর, বাঘাডাঙ্গা ও রায়পুর দিয়ে ভারতীয় গরু ও বাংলাদেশী ধুড় পাচার, বাঘাডাঙ্গা ও শ্যামকুড় বর্ডার দিয়ে আগ্নেয়াস্ত্র এবং লেবতলা ও রায়পুর বর্ডাার দিয়ে সোনা পাচার হয়ে থাকে।
বিজিবির সোর্স পরিচয় দিয়ে একাধিক ব্যক্তি সীমান্তের এই ঘাটগুলো নিয়ন্ত্রন করে। তথ্যানুসন্ধানে জানা গেছে, রায়পুর সীমান্তে কুটি মিয়া, শ্যামকুড় এলাকায় আলী, ন্যাপা এলাকা নিয়ন্ত্রন করেন নওশের খোড়া, হুদাপাড়া, কাঞ্চনপুর ও বাঘাডাঙ্গা এলাকা নিয়ন্ত্রন করেন আল আমিন ও রতনপুর এলাকা নিয়ন্ত্রন করেন আল আমিন। এরা সবাই বিজিবির কথিত সোর্স পরিচয় দিয়ে চোরাকারবারীদের সহায়তা করেন বলে এলাকাবাসি অভিযোগ করেন। তবে বিজিবির দায়িত্বপ্রাপ্ত কেউ সীমািন্তের চোরাচালান নিয়ে কথা বলতে রাজি হননি। বাঘাডাঙ্গা বিজিবির ক্যাম্প কমান্ডার সুবেদার শরাফৎ আলী ও টুআইসি হাবিলদার আব্দুল আজিজ এ বিষয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলার পরামর্শ দেন।
মহেশপুর ৫৮ বিজিবির এক কর্মকর্তা জানান, তাদের কোন সোর্স নেই। তারা নিজস্ব গোয়েন্দা নজরদারী দিয়ে চোরাচালারসহ সীমান্তে সব ধরণের অপরাধ নিয়ন্ত্রন করেন। বিজিবির নাম ভাঙ্গিয়ে যারা চোরাকারবারীদের সহায়তা করে থাকেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট

Theme Customized BY LatestNews