1. fauzursabit135@gmail.com : Fauzur Rahman Sabit : Fauzur Rahman Sabit
  2. sizulislam7@gmail.com : sizul islam : sizul islam
  3. mridha841@gmail.com : Sohel Khan : Sohel Khan
  4. multicare.net@gmail.com : অদেখা বিশ্ব :
সোমবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৮:১৫ পূর্বাহ্ন

আজ রক্তঝরা অমর একুশে

স্টাফ রিপোর্টার
  • প্রকাশিত: বুধবার, ২১ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪

সব পথ আজ মিলে যাবে শহীদ মিনারে। সবার হাতে হাতে থাকবে ফুল। কণ্ঠে কণ্ঠে ধ্বনিত হবে অমর সেই গান ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি/আমি কি ভুলিতে পারি…’। শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে ভাষাশহীদদের প্রতি সম্মান জানাবে রক্তঋণে বাঁধা জাতি।

আজ বুধবার অমর একুশে ফেব্রুয়ারি। মায়ের ভাষায় কথা বলার অধিকার আদায় করতে গিয়ে আত্মদানের গৌরবময় দিন। আজ মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। আজ সরকারি ছুটির দিন।

দ্বিজাতিতত্ত্বের ভিত্তিতে ১৯৪৭ সালে হয় দেশভাগ। জন্ম হয় পাকিস্তান নামক রাষ্ট্রের। জন্মের পর থেকেই পশ্চিম পাকিস্তানের শাসকগোষ্ঠী পূর্ব পাকিস্তানের বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্র শুরু করে। সংখ্যাগরিষ্ঠ বাঙালির মাতৃভাষাকে উপেক্ষা করে উর্দুকে পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা করার অপচেষ্টা চালায়।

এর প্রতিবাদে যে আন্দোলন শুরু হয়, তার চূড়ান্ত রূপ দেখা যায় ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি। সেদিন বাংলাকে এ দেশের রাষ্ট্রভাষার মর্যাদা দেওয়ার দাবিতে ১৪৪ ধারা ভেঙে মিছিল বের করে ছাত্র-জনতা। সেই মিছিলে নির্বিচার গুলি চালায় পুলিশ। রফিক, সালাম, বরকত, জব্বার, শফিকসহ নাম না জানা অনেকের রক্তে রঞ্জিত হয় রাজপথ। তাঁদের রক্তের পথ বেয়েই বাংলা পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্রভাষার স্বীকৃতি পায়।

রাষ্ট্রীয়ভাবে শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের নানা কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলও নিজ নিজ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। দল-মত-নির্বিশেষে সব শ্রেণি-পেশার মানুষ আজ নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে ভাষাশহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাবে।

অমর একুশে উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন। বাণীতে রাষ্ট্রপতি বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন ভাষাভাষী মানুষের নিজস্ব ভাষা ও সংস্কৃতি রক্ষায় অমর একুশের চেতনা আজ অনুপ্রেরণার অবিরাম উত্স। তিনি বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতির যথাযথ চর্চা ও সংরক্ষণে আরো যত্নবান হওয়ার আহ্বান জানান।

বাণীতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মহান ভাষা আন্দোলনের মাধ্যমেই বাঙালি জাতীয়তাবাদ প্রতিষ্ঠিত হয়। এই বাঙালি জাতীয়তাবাদ এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ ধারণ করে গত ১৫ বছরে বাংলাদেশকে বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত করা হয়েছে। তিনি বলেন, ২০৪১ সালের বাংলাদেশ হবে স্মার্ট বাংলাদেশ—যা স্মার্ট জনগোষ্ঠী, স্মার্ট অর্থনীতি, স্মার্ট সরকার এবং স্মার্ট সমাজব্যবস্থা সৃষ্টির মাধ্যমে অর্জিত হবে। তিনি সবার প্রচেষ্টায় ‘সোনার বাংলাদেশ’ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যের কথা জানান।

রাত ১২টা ১ মিনিটে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে একুশের কর্মসূচি শুরু হয়। প্রথমে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।

অমর একুশের ঐতিহাসিক অমর গান ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি…আমি কি ভুলিতে পারি’—এই গানের সঙ্গে সঙ্গে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন প্রথমে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। রাষ্ট্রপতির পরই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। তাঁরা ভাষাবীরদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন।

এ সময় জাতীয় সংসদের স্পিকার, মন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা, সংসদ সদস্য, তিন বাহিনীর প্রধান, আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতা, মুক্তিযোদ্ধা, বিদেশি কূটনীতিক, উচ্চপদস্থ বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

পরে মন্ত্রিসভার সদস্য এবং দলের জ্যেষ্ঠ নেতাদের নিয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা দলের পক্ষ থেকে শহীদ মিনারে আরেকটি পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।

পরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী ও ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু।

এর আগে রাষ্ট্রপতিকে শহীদ মিনারে অভ্যর্থনা জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক এ এস এম মাকসুদ কামাল।

পরে তিন বাহিনী প্রধানগণ, পুলিশের মহাপরিদর্শক, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনারগণ, বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রধান, র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব), বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি), যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা, ঢাকা ইউনিভার্সিটি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন (ডিইউএএ) শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে। এরপর সর্বস্তরের জনগণের জন্য শহীদ মিনার খুলে দেওয়া হয়।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট

Theme Customized BY LatestNews