1. fauzursabit135@gmail.com : Fauzur Rahman Sabit : Fauzur Rahman Sabit
  2. sizulislam7@gmail.com : sizul islam : sizul islam
  3. mridha841@gmail.com : Sohel Khan : Sohel Khan
  4. multicare.net@gmail.com : অদেখা বিশ্ব :
সোমবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৮:১৬ পূর্বাহ্ন

চট্টগ্রামে ৪ মাসের মাথায় কবর থেকে লাশ উত্তোলন

পটিয়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১২ মার্চ, ২০২৪
চট্টগ্রামের পটিয়ায় নিজ ঘরে একজনকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে খুন করার পর স্ট্রোক করে মৃত্যু হয়েছে বলে স্ত্রী ও ছেলের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রায় চার মাস পর নিহত মোহাম্মদ আলমগীরের লাশ কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে।

সোমবার (১১ মার্চ) দুপুরে সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফাহমিদা আফরোজের উপস্থিতিতে পটিয়া থানা পুলিশ লাশটি উত্তোলন করেন। আদালত ঘটনাটি পটিয়া থানাকে এফআইআর হিসেবে ট্রিট করতে নির্দেশ দিয়েছেন।

এর আগে, মোহাম্মদ আলমগীর (৪৮) নামের এক পক্ষগাতগ্রস্ত লোককে পরিকল্পিত খুনের অভিযোগে নিহতের বোন ছেনোয়ারা আকতার গত বছরের ১১ ডিসেম্বর পটিয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন।

১৩ ডিসেম্বর পটিয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক বেগম তাররাহুম আহমেদ ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মামলাটি এফআইআর হিসেবে ট্রিট করতে পটিয়া থানার ওসিকে নির্দেশ দেন।

গত বছরের ৫ ডিসেম্বর নিহত আলমগীরের স্ত্রী ও সন্তান মিলে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে খুন করার পর নিহতের লাশ তড়িঘড়ি করে দাফন করতে গোসলের সময় তার গলায় ফাঁসির চিহ্ন পাওয়ার পর বিষয়টি আলোচনায় আসে। এমন চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে পটিয়া উপজেলার হাইদগাঁও ইউনিয়নের রাজঘাটা বৈদ্যপাড়ায়।

মামলায় অভিযুক্তরা হলেন- নিহতের স্ত্রী শাহিদা আকতার (৩৭) ও পুত্র খোরশেদ আলম (২৪)।আদালতে দায়ের করা মামলার নথি সূত্রে জানা যায়, নিহত আলমগীর পক্ষাঘাত রোগে আক্রান্ত এবং পারিবারিকভাবে অশান্তিতে ছিলেন। গত ৫ ডিসেম্বর সকালে নিহতের স্ত্রী ও সন্তান অসুস্থ অবস্থায় তাকে ঘর থেকে বের করে দেয়। রাত সাড়ে ১১টা পর্যন্ত তিনি এলাকার মোহাম্মদ মোনাফের চায়ের দোকানে বসেছিলেন। রাতে স্থানীয় লোকজন তাকে জোর করে ঘরে দিয়ে আসেন।

তাকে ঘরে নিয়ে যাওয়ার সময় নিহত আলমগীর তাকে খুন করা হতে পারে বলে আশঙ্কার কথা জানিয়েছিলেন স্থানীয়দের। এ সময় তিনি কোনোভাবেই ঘরে যেতে চাননি।

এরপরও রাতে তিনি কোথায় থাকবেন তা ভেবে স্থানীয় লোকজন তাকে জোর করে ঘরে রেখে আসেন। পরদিন ৬ ডিসেম্বর সকালে তার স্ত্রী ও সন্তানরা প্রচার করেন আলমগীর হার্টঅ্যাটাকে মারা গেছেন। এরপরই পরিবারের পক্ষ থেকে ওই দিন বাদ আসর নামাজে জানাজার পর তাকে দাফনের কথা প্রচার করা হলেও আত্মীয়স্বজন আসার আগেই তড়িঘড়ি করে তাকে জোহরের নামাজের সময় দাফন করা হয়।

কিন্তু লাশের গোসল দেওয়ার সময় লোকজন তার গলায় ফাঁস ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখমের চিহ্ন দেখতে পায়। এ সময় তারা তা ভিডিও ধারণ করে রাখেন। পরে আলমগীরের মৃত্যু নিয়ে রহস্যের বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর চারদিকে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় উঠে।

বিষয়টি জানতে পেরে নিহতের বোন ছেনোয়ারা বেগম ও এলাকার লোকজন এ বিষয়ে স্ত্রী ও ছেলের কাছে জানতে চাইলে মৃত ব্যক্তিকে নিয়ে বাড়াবাড়ি না করার জন্য বলা হয়। পরে এ বিষয়ে পটিয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করা হলেও পুলিশ তা গ্রহণ করেনি। পরে পটিয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলার আবেদন করা হয়।

বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাড. জসিম উদ্দিন বলেন, ঘটনাটি এফআইআর হিসেবে ট্রিট করতে পটিয়া থানার ওসিকে আদালত নির্দেশ দেওয়ার পর পটিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়েরের পর একটি তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে জমা দিলেই আদালত লাশটি কবর থেকে উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের জন্য নির্দেশ দেন পুলিশকে। সোমবার নিহত আলমগীরের লাশ কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে।

পটিয়া থানার ওসি (তদন্ত) সাইফুল ইসলাম বলেন, আদালতের আদেশে চাঞ্চল্যকর এ হত্যা মামলাটি দায়ের করার পর সম্প্রতি আদালত নিহতের লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য কবর থেকে উত্তোলনের আদেশ দেন। সোমবার দুপুরে উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে লাশটি উত্তোলন করে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার ময়নাতদন্তের পর পুনরায় লাশটি কবর দেওয়া হবে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর জানা যাবে এ ঘটনার প্রকৃত রহস্য উন্মোচন হবে। তখন আমরা আইনানুগ ব্যবস্থা নেব।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট

Theme Customized BY LatestNews