চট্টগ্রাম শহরের জলাবদ্ধতা নিরসনকল্পে খাল পুনঃখনন, সম্প্রসারণ, সংস্কার ও উন্নয়ন শীর্ষক সবচেয়ে বড় প্রকল্পটির কাজের অগ্রগতি এখন ৬৫ শতাংশ। প্রকল্পের মেয়াদ রয়েছে ২০২৬ সালের জুন পর্যন্ত। এই সময়সীমার মধ্যে প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন করা হবে। প্রকল্পের অধীনে ৬টি স্লুইসগেটের মধ্যে ৫টি কাজ সম্পন্ন হয়েছে। আসন্ন বর্ষা মৌসুমে এর সুফল পাওয়া যাবে।
মঙ্গলবার (১২ মার্চ) দুপুরে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৩৪ ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন বিগ্রেড কার্যালয়ে আয়োজিত এক সমন্বয় সভায় প্রকল্প পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল ফেরদৌস আহমদ এসব কথা বলেন।
চট্টগ্রাম শহরের জলাবদ্ধতা নিরসনকল্পে বর্ষাকালীন প্রাক প্রস্তুতিমূলক সমন্বয় সভায় তিনি আরো বলেন, আগামী বর্ষা মৌসুমে যাতে জলাবদ্ধতা তৈরি না হয় এর জন্য আমরা কাজ করছি। বিশেষ করে যেসব খাল সংস্কার করা হয়েছে, তা পর্যায়ক্রমে পুনঃখনন করার পরিকল্পনা রয়েছে।বর্ষায় নগরবাসীকে যাতে ভোগান্তিতে পড়তে না হয়, সে জন্য নিচু এলাকাগুলোর আশপাশের খালগুলো পুনঃখনন করা হবে। বিশেষ করে মির্জা খাল, চশমা খাল, চাক্তাই খাল, বাকলিয়া খাল ও মহেশখাল পানি প্রবাহের জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত করার পরিকল্পনা রয়েছে। পাশাপাশি এসব খালের সঙ্গে সংযুক্ত নালাগুলো যদি পরিষ্কার করা যায় তাহলে এ বছর দুই নম্বর গেট, বাদুরতলা, বহদ্দারহাটসহ বেশি জলাবদ্ধতা তৈরি হওয়া স্থানগুলোতে দুর্ভোগ সহনীয় পর্যায়ে আসবে। এ ছাড়া আমাদের অধীনে থাকা পাঁচটি খালে বসানো রেগুলেটর এ বর্ষার আগে পুরোপুরি চালু হবে।
তিনি বলেন, সেনাবাহিনী যে ৩৬ খালের কাজ করছে এর মধ্যে ২০টি খালের রিটার্নিং ওয়ালের কাজ শেষ হয়েছে। এ ছাড়া ৪৫টি ব্রিজের মধ্যে ৩৫টি এবং ৭০টি কালভার্টের মধ্যে ৫৮টি কালভার্টের কাজ শেষ হয়েছে। সব মিলে আমাদের প্রকল্পের কাজের অগ্রগতি ৬৫ শতাংশ।
এই সভায় চট্টগ্রাম বন্যা সংরক্ষণ বাঁধ নির্মাণে প্রকল্প কর্মকর্তা মেজর সুজাউদ্দীন পাঠান নিজেদের প্রকল্প নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। এ সময় জলাবদ্ধতা নিরসন মূল প্রকল্পের চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশল মোহাম্মদ মাঈনুদ্দীন আহমদ উপস্থিত ছিলেন।
ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট