সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, হাতছাড়া হওয়া ক্যাম্পগুলো উদ্ধারে অভিযান শুরু করেছেন মিয়ানমারের সেনা সদস্যরা।অন্যদিকে নিজেদের দখল ধরে রাখতে পাল্টা জবাব দিচ্ছেন বিদ্রোহী আরাকান আর্মির সদস্যরা। এর ফলে নাইক্ষ্যংছড়ির ওপারে জামছড়ি সীমান্তে উভয় পক্ষের মধ্যে তুমুল লড়াই হচ্ছে। আর এতে উদ্বেগ-উত্কণ্ঠা দেখা দিয়েছে সীমান্তবর্তী এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে।
জেলা প্রশাসক সাংবাদিকদের জানান, বিজিবি কর্তৃপক্ষ তাঁকে জানিয়েছে যে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমারের অনুপ্রবেশকারীদের সীমান্ত থেকে সরিয়ে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা সদরে বিজিবির ১১ ব্যাটালিয়ন সদর দপ্তর সংলগ্ন বর্ডার গার্ড প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নিয়ে আসা হয়েছে।
বিজিবি গত সোমবার সকাল থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত ১৭৯ জনের অনুপ্রবেশের তথ্য দিয়েছে। একটি সূত্র জানিয়েছে, অনুপ্রবেশকারীদের মধ্যে দুজন দোভাষী ছিলেন। তাঁদের মিয়ানমারে ‘পুশব্যাক’ করা হয়েছে।
এদিকে ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সূত্রগুলো জানায়, মিয়ানমার থেকে আবারও যে সীমান্তরক্ষীরা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন, আগের মতোই তাঁদের ফেরত পাঠানোর লক্ষ্যে কাজ করছে সরকার। নতুন করে কয়েকজন বেসামরিক নাগরিক আসার চেষ্টা করেছিল, তাদের ফেরত পাঠানো হয়েছে।
এদিকে হঠাৎ করে মিয়ানমারে অশান্ত পরিস্থিতির কারণে এপারের জনগণ শঙ্কিত বলে জানিয়েছেন সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নুরুল আবছার ইমন। তিনি বলেন, পরিস্থিতি মোকাবেলায় উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ ও বিজিবি সদস্যরা সতর্ক অবস্থায় রয়েছেন।