মার্কিন কর্মকর্তারা বিশ্বাস করেন যে, ইসরায়েলের মাটিতে সামরিক ও সরকারি লক্ষ্যবস্তুর বিরুদ্ধে ইরান অথবা বা তার প্রক্সিদের হামলা আসন্ন। আজ বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের ব্লুমবার্গের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলি গোয়েন্দাদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ অজ্ঞাতনামা সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে গণমাধ্যমটি বলেছে, সম্ভাব্য হামলা ‘সম্ভবত উচ্চ-নির্ভুল ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে আগামী কয়েক দিনের মধ্যে হামলা হতে পারে।’
সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে ইরানের কনস্যুলেটে সন্দেহভাজন ইসরায়েলি বিমান হামলায় দুই শীর্ষ জেনারেলসহ ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ডের সাত সদস্য নিহত হওয়ার পর থেকে ইসরায়েল উচ্চ সতর্ক অবস্থায় রয়েছে। হামলার প্রতিশোধ নেওয়ার অঙ্গীকার করেছে তেহরান।
মার্কিন এবং পশ্চিমা গোয়েন্দারা ইঙ্গিত দিচ্ছে ইরানি হামলা লেবাননে তেহরানের মিত্র হিজবুল্লাহর মাধ্যমে নাও ঘটতে পারে।
এর আগে বুধবার ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি দামেস্কে হামলার জন্য ইসরায়েলের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেওয়ার প্রতিশ্রুতি পুর্নব্যক্ত করেন।
এদিকে ইরানের হামলা আশঙ্কায় ইসরায়েলে অবস্থিত বিদেশি কূটনৈতিক মিশনগুলো প্রস্তুতি নিচ্ছে। নিজেদের নাগরিক ও স্টাফদের সরিয়ে নেওয়ার জন্য জরুরি পরিকল্পনা তৈরি করছে এসব দেশ। এর মধ্যে রয়েছে জেনারেটর এবং স্যাটেলাইট ফোনের মতো জরুরি সরবরাহের বিষয়ে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ।
এদিকে বিবিসি জানায়, ইরানের হুমকির মুখে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ইসরায়েলকে ‘লৌহবেশিষ্ট’ মার্কিন সমর্থনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। বাইডেন বলেছেন, সিরিয়ায় ইরানের কনস্যুলেটে হামলার পর ইরান ‘গুরুত্বপূর্ণ আক্রমণ’ করার হুমকি দিচ্ছে। তিনি বলেন, ‘ইসরায়েলের নিরাপত্তা রক্ষার জন্য আমরা সম্ভাব্য সবকিছু করতে যাচ্ছি।’
ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট