আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান।
দুর্নীতির মামলায় ১৩ বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত সাজার আমানউল্লাহ আমান।হাইকোর্টের দেওয়া এ সাজার বিরুদ্ধে গত ১৪ জানুয়ারি তাঁকে আপিলের অনুমতি দেওয়া হয়।
মামলার বিবরণ
জরুরি অবস্থার মধ্যে ২০০৭ সালের ৬ মার্চ আমান ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন এবং সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে রাজধানীর কাফরুল থানায় এই মামলা করে দুদক।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, ১৯৯২ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত আমান দম্পতি ৯ কোটি ৯৪ লাখ ৬৩ হাজার টাকার সম্পত্তি অবৈধভাবে অর্জন করেছেন। এর মধ্যে আমান জ্ঞাত আয়ের বাইরে ৩ কোটি ৩১ লাখ ৭৫ হাজার ৯ টাকা এবং সাবেরা আমান ৬ কোটি ৬২ লাখ ৮৮ হাজার টাকার সম্পত্তি অর্জন করেন।২০০৭ সালের ২১ জুন বিশেষ জজ আদালত আমানকে ১৩ বছরের কারাদণ্ড দেন। আর সাবেরাকে দেওয়া হয় তিন বছরের কারাদণ্ড। ওই রায়ের বিরুদ্ধে তারা হাইকোর্টে আপিল করলে ২০১০ সালের ১৬ অগাস্ট হাইকোর্ট তাদের আপিল গ্রহণ করে খালাস দেন। হাইকোর্টের এই রায়ের বিরুদ্ধে দুদক আপিল করলে ২০১৪ সালের ২৬ মে আপিল বিভাগ হাইকোর্টের রায় বাতিল করে হাইকোর্টকে আমান দম্পতির আপিল পুনঃশুনানির নির্দেশ দেন। গত বছর ১৪ মে আপিলের পুনঃশুনানি শেষ হলে আদালত মামলাটি রায়ের জন্য রাখেন। পরে ৩০ মে রায় দেন। রায়ে আমানের ১৩ বছর ও তার স্ত্রী সাবেরা আমানের তিন বছরের সাজা বহাল রাখেন হাইকোর্ট।