আজকের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও জানে— কেন ও কিভাবে বৃষ্টিপাত হয়? তাদের পাঠ্যবইতে বৃষ্টি চক্র পড়ানো হয়। সূর্যের তাপে পানি বাষ্প হয়ে উপরে উঠে যায়। সেখাতে শীতল তাপে তা আবার ঘণীভূত হয়। বৃষ্টিপাত হয়ে নেমে আসে। মেঘ বায়ুপ্রবাহে দূরে সরে যায়। ফলে সমুদ্র থেকে দূরবর্তী স্থানেও বৃষ্টিপাত হয়। এসব কথা স্পষ্টতই ধর্মবিরোধী তথা স্রষ্টার বক্তব্যের বিপরীত।
ইসলাম মতে মিকাইল আ. বৃষ্টি ও খাদ্য উৎপাদনের দায়িত্বপ্রাপ্ত। হিন্দু ধর্মে এই দায়িত্ব রয়েছে দেবরাজ ইন্দ্রের উপর। পেগান/নর্ডিক দেবতাদের মধ্যে ঝড়-বৃষ্টির দেবতা হলেন থর। এক সময় মানুষ বুঝতে পারতো না, কিভাবে বৃষ্টিপাত হয়? এমনকি ঈশ্বরও তার গ্রন্থে ভুলভালই তথ্য দিয়েছেন৷ গ্রন্থগুলোতে এমনভাবে লেখা যেন, ঈশ্বর আকাশে থাকা পানির পাত্র থেকে জল ঢেলে দেন৷ আমরা আদর্শলিপিতে পড়েছি, ‘ঘনাগমে বৃষ্টি হয়’! তখন ভাবতাম ঘনা কেমন গম যে তাতে বৃষ্টি হয়? স্যারেরও বুঝতেন না৷ ঘন+আগম= ঘনাগম! ঘন মানে মেঘ৷ মানে হল মেঘের আগমন হলে বৃষ্টি হয়৷ এখনকার শিক্ষার্থীরা জানতে চায় কেন ও কিভাবে মেঘ জমে? কতটুকু জমলে বৃষ্টি পড়বে? তাহলে বৈজ্ঞানিকভাবে কিভাবে বৃষ্টি নামানো যায়?
অর্থাৎ আজ আমাদের প্রাথমিকের শিক্ষার্থীরা জানে কিভাবে বৃষ্টি হয়। অথচ একটা সময় ছিল যখন মানুষ বুঝতে পারতো না কিভাবে বৃষ্টিপাত হয়। ফলে তারা এটাকে দেবদেবী বা ফেরেস্তাদের কাজ বলেই মনে করতো। আজ কেন ও কিভাবে বৃষ্টি হয়, ঘুর্ণিঝড় হয় তা জানে? কোথায় কবে আঘাত হানবে তার পথও আগাম বলে দিতে পারে। ফলে মানুষ সতর্ক হচ্ছে৷ সরকারও ব্যবস্থা নিচ্ছে৷ লোকজনকে সরিয়ে নেয়া হয় আশ্রয় কেন্দ্রে৷ বাংলাদেশে ১৯৭০ সালের জলোচ্ছ্বাসে কয়েক লক্ষ মানুষ মারা গিয়েছিল৷ আজ কিন্তু বিজ্ঞান আগামই বলে দিচ্ছে কবে কোথায় আঘাত হানবে৷ সে হিসেবে মানুষ নিজেই জীবন বাঁচাতে পারছে৷ এখন মানুষ শক্ত ঘরবাড়ি বানাচ্ছে যা ঘূর্ণিঝড় ভাঙতেও পারছে না৷
এরপরও বহু মানুষ সত্যটা শুনতে চাইবে না৷ তারা ভাববে এসব সত্য নয়৷ এগুলো নিয়ে ভাবাও পাপ৷ তাতে সত্য বসে থাকবে না৷ সত্যের শক্তি সিডর, আইলা ও মোখার চেয়ে অনেক বেশি৷ সত্য অন্ধবিশ্বাসী বোকাদের তাসের ঘরের মতোই উড়িয়ে দিবে৷ দুটি প্রশ্নের উত্তর দিন—
১) কেন আপনাদের পবিত্র গ্রন্থে বৃষ্টিপাত নিয়ে ভুলভাল লেখা রয়েছে?
২) স্রষ্টা কি বৃষ্টিপাতের কারণটা জানতেন না?