ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার দত্তনগর কৃষি খামারের অন্তর্ভুক্ত গোকুলনগর খামার থেকে মাটি কেটে নিজের পৈতৃক ভিটা ভরাট করছেন দত্তনগর কৃষি খামারের যুগ্ম পরিচালক কামরুজ্জামান শাহীন।
পরে স্থানীয় জনগণের বাঁধার সম্মুখীন হয়ে মাটিকাটা বন্ধ করতে বাধ্য হন তিনি।
গোকুলনগর খামারের ভিতরে স্তূপ করা মাটি ভেকু দিয়ে কেটে ট্রাক্টর বোঝাই করে খামার থেকে পাঁচ কিলোমিটার দুরে নিজের ভিটা ও বাগান ভরাট করছেন যুগ্ম পরিচালক কামরুজ্জামান শাহীন,এরকম প্রকাশ্যে অনিয়ম দুর্নীতি দেখে স্থানীয় জনগণ বাঁধা দেয় এবং মাটি কাটা বন্ধ করে দেয়।
এছাড়াও খামারের ভেতরে আবাসিক এলাকার মধ্যে দেখা যায় প্রায় প্রতিটা কর্মকর্তা ও কর্মচারীর বাড়ির সামনে উন্নত মানের সংরক্ষিত ধানের বীজ সেদ্ধ করে রোদে শুকাচ্ছেন যা তিনারা খাবেন, বিক্রি করবেন অথবা অন্য কোনো কাজে ব্যবহার করবেন,যেটা সম্পূর্ণ ভাবে অপরাধ ও প্রকাশ্য চুরি।
স্থানীয় জনগণের মধ্যে এই ধানের বীজ সেদ্ধ করার বিষয়ে ও মাটি কেটে নিজের পৈতৃক ভিটায় নিয়ে যাবার বিষয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন বলেন এই ধানের বীজ আমাদের দেশের সম্পদ আর এই ধান এভাবে প্রকাশ্যে চুরি করে খাচ্ছেন কর্মকর্তা কর্মচারীরা অথচ দেখার কেউই নাই।আমরা আজকে দত্তনগর কৃষি খামারের যুগ্ম পরিচালক কামরুজ্জামান শাহীনের অবৈধ মাটিকাটা বন্ধ করে দিয়েছি। জনগণের দাবি অনতিবিলম্বে এ বিষয়ে তদন্ত সাপেক্ষে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া হোক।
গোকুলনগর খামারের সরকারি মাটি অবৈধ ভাবে কেটে নিজের পৈতৃক ভিটায় নিয়ে যাবার বিষয়ে কথা হয় দত্তনগর কৃষি খামারের যুগ্ম পরিচালক কামরুজ্জামান শাহীনের সাথে। তিনি সাংবাদিকদের জানান, এই মাটির স্তূপের কারণে ভেতরে চুরি হচ্ছিল আর খামারে মাটি রাখার জায়গা নেই, সেই কারণে আমি আমার নিজের জমিতে মাটি দিচ্ছিলাম, যেটা স্থানীয় জনগণের বাঁধার কারণে বন্ধ করে দিয়েছি,এছাড়া তিনি ধান সেদ্ধ করা ও কর্মচারীদের সেই ধান খেয়ে ফেলার বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি।
ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট