ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডুতে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে এক কলেজছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় এক ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় আদালতে মামলা করেছেন ভুক্তভোগী ওই কলেজছাত্রী। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক হরিণাকুণ্ডু থানাকে মামলা রেকর্ড করার নির্দেশ দিয়েছেন।
অভিযুক্ত ওই ইউপি সদস্য আলামিন হোসেন উপজেলার সোনারদাইড় গ্রামের হান্নান মোল্লার ছেলে ও চাঁদপুর ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্য ও প্যানেল চেয়ারম্যান । পাশাপাশি তিনি ঝিনাইদহ সরকারি ভেটেরিনারি কলেজে মাস্টাররোলে চাকরি করেন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ভুক্তভোগী ওই তরুণীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ২০২৩ সালের ১২ অক্টোবর থেকে আলামিন নানা স্থানে নিয়ে ওই ছাত্রীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করেন। পরবর্তীতে স্ত্রীর স্বীকৃতি চাইলে আলামিন অস্বীকার করেন।
ভুক্তভোগী কলেজছাত্রী জানান, আলামিন ও তার বাড়ি একই ইউনিয়নে। তিনি ব্যক্তিগত কাজে চাঁদপুর ইউনিয়ন পরিষদে গেলে আলামিন তার মোবাইল নম্বর রেখে দেন। পরে বিভিন্ন সময়ে তার সঙ্গে কথা বলত আলামিন। হঠাৎ একদিন তিনি আমাকে যশোরে তার এক ভাবির বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে আমাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন। সেখানে আমি অনেক কান্নাকাটি করলে তার ভাবী ও আলামিন আমাকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দেয়।
তিনি বলেন, বিয়ের আশ্বাস দিলে আমি তার সঙ্গে স্বামী স্ত্রীর মতো মেলামেশা করতে থাকি। একপর্যায়ে আমাকে তার বাড়িতে নিয়ে যেতে বললে তিনি অস্বীকৃতি জানান।
ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থী অভিযোগ করে জানান, চাঁদপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামাল হোসেন আলামিনকে আশ্রয় দিচ্ছে। যে কারণে তিনি ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়েছেন। সঠিক বিচার না পেলে আত্মহত্যা করার হুমকিও দেন ভুক্তভোগী ছাত্রী।
চাঁদপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামাল হোসেন জানান, অভিযোগের ভিত্তিতে আলামিনকে ডেকে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করেছি। কিন্তু আলামিন প্রথমে ওই মেয়েকে বিয়ে করতে রাজি হলেও পরে অস্বীকার করেছে। যার কারণে আমি এ ঘটনা থেকে বের হয়ে গেছি। তারপর থেকে আমার সঙ্গে কোনো যোগাযোগ নেই। তিনি এখন ইউনিয়ন পরিষদেও আসে না।
এ বিষয়ে হরিণাকুণ্ডু থানার ওসি জিয়াউর রহমান জানান, ইউপি সদস্য আলামিনকে গ্রেপ্তারের জন্য আমরা অভিযান চালাচ্ছি।
ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট