ঝিনাইদহের শৈলকূপায় উপজেলার বাগুটিয়া গ্রামে সোমবার আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন।
আহতদের শৈলকুপা উপজেলা স্বস্থ্য কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহতদের মধ্যে খয়বর বিশ্বাস, বাবুল বিশ্বাস, মতিয়ার রহমান, রাজন হোসেন, মিটুল হোসেন, রজব আলী ও আজিজুল ইসলামের নাম পাওয়া গেছে।
শৈলকুপা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিজয়ী চেয়ারম্যান প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা মোস্তফা আরিফ রেজা মন্নু ও পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী একই দলের শামিম হোসেন মোল্লার সমর্থকদের মধ্যে বেলা সাড়ে ১১টা থেকে দুপুর ০২টা পর্যন্ত থেমে থেমে এই সংঘর্ষ চলে।
শৈলকুপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সফিকুল ইসলাম চৌধুরী জানান, নিত্যানন্দনপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মফিজ বিশ্বাস ও সাবেক চেয়ারম্যান ফারুক বিশ্বাসের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। বিরোধের সুত্র ধরে ফারুক বিশ্বাসের সমর্থক আব্দুর রশিদ ভোটের সময় বিজয়ী চেয়ারম্যান মোস্তফা আরিফ রেজা মন্নুর পক্ষে এবং মফিজ বিশ্বাসের সমর্থক কোবাদ বিশ্বাস পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী শামীম হোসেন মোল্লার পক্ষে পক্ষে অবস্থান নেন।
এনিয়ে বাগুটিয়া গ্রামে নির্বাচন পরবর্তী সময়ে উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। সামাজিক দলাদলি ও আধিপত্য বিস্তারের অংশ হিসাবে সোমবার তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে কোবাদ বিশ্বাস ও আব্দুর রশিদ সমর্থকরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের মাত্রা তীব্র থেকে আরো তীব্রতর হতে তাকে।এতে সংঘষের্র মাত্রা পুলিশের নিয়ন্ত্রনের বাইরে যায়। পরে শৈলকুপা থেকে অতিরিক্ত পুলিশ এনে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করতে হয়।
সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ফারুক বিশ্বাস বলেন, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের পর থেকে বাগুটিয়া গ্রামে বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান মফিজ বিশ্বাস নিজে তার সমর্থকদের দিয়ে শান্ত পরিবেশ অশান্ত করে তুলেছে। এ সংঘর্ষ তারই অংশ।
নিত্যানন্দনপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মফিজ বিশ্বাস বলেন, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের পর থেকে বাগুটিয়া গ্রামে তার সমর্থকদের উপর প্রতিপক্ষরা একের পর এক হামলা চালিয়ে আসছিল। ফলে এ ঘটনায় তার সমর্থকরা বসে বসে মার খেতে পারে না। তাই তারা প্রতিরোধ করেছে।
শৈলকুপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সফিকুল ইসলাম চৌধূরী বলেন, বাগুটিয়া গ্রামে দুই দল ও গ্রামবাসির মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে নিয়ে আসে। বাগুটিয়া গ্রামে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট