ঝিনাইদহ ০৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার হত্যাকান্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার আওয়ামী লীগ নেতা কাজী কামাল আহমেদ বাবু ওরফে গ্যাস বাবুকে ০৭ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।
রবিবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসান এই রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
দুপুরের পর ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক কামাল আহমেদ ওরফে গ্যাস বাবুকে ১০ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন জানিয়ে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ ডিবি আদালতে পাঠায়। তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির সহকারী পুলিশ কমিশনার মাহফুজুর রহমান রিমান্ডের আবেদন জানান।
অন্যদিকে আসামিপক্ষে রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করেন অ্যাডভোকেট আমিনুল ইসলাম হিরু। রাষ্ট্রপক্ষে মহানগর পিপি আব্দুল্লাহ আবু রিমান্ডে নেওয়ার যৌক্তিকতা তুলে ধরেন। একই সঙ্গে ১০ দিনের রিমান্ডে পাঠানোর নিবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
ঢাকার আদালতের শেরেবাংলা নগর থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা এসআই জালাল উদ্দিন রিমান্ডের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
গত ৬ জুন রাতে ঝিনাইদহ থেকে গ্যাস বাবুকে আটক করে গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল। এরপর তাকে ঢাকায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। গতকাল শনিবার তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
আনোয়ারুল আজীম আনার ভারতে খুন হওয়ার ঘটনায় গত ২২ মে ঢাকার শেরেবাংলা নগর থানায় অপহরণের পর বাবাকে গুম করার অভিযোগে মামলা করেন তার মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন।
বাবু ঝিনাইদহ জেলা শহরের ভুটিয়ারগাতি গ্রামের মৃত রায়হান উদ্দিনের ছেলে। তিনি পৌর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদেও রয়েছেন।
ডিবির সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, এমপি আনার হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার শিমুল ভূঁইয়া ওরফে আমানুল্লাহর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতেই বৃহস্পতিবার (৬ জুন) রাতে আটক করা হয় আ.লীগ নেতা বাবুকে।
এ পর্যন্ত যেসব তথ্য পাওয়া গেছে, তাতে হত্যাকাণ্ডে তার সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ মিলেছে। শিমুল ভূঁইয়া ও বাবুর দেওয়া তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে যাচাই করা হচ্ছে বলেও জানিয়েছে ডিবি।
এদিকে পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে, বুধবার (৫ জুন) রাত সাড়ে ৮টার দিকে বাবু ঝিনাইদহ সদর থানায় হাজির হয়ে একটি জিডি করেন। ওই জিডিতে ৩টি মোবাইল ফোন হারিয়ে গেছে বলে উল্লেখ করেন তিনি। এর একটি আইফোন, একটি ভিভো এবং একটি রেডমি মোবাইল ফোন। জিডি করার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ঝিনাইদহ শহরের আদর্শপাড়ার বাসা থেকে আটক করা হয় বাবুকে।
আটকের পর ডিবি জানিয়েছে, হত্যাকাণ্ডের পর শাহীনের সঙ্গে দফায় দফায় কথা হয়েছে বাবুর। হয়েছে এসএমএস লেনদেনও। একসঙ্গে বৈঠকেও বসেছেন তারা। উঠে এসেছে শাহীনের সঙ্গে বাবুর অর্থ লেনদেনের বিষয়ও। শিমুল ভূঁইয়া, বাবু এবং শাহীনের মধ্যে আত্মীয়তার সম্পর্ক রয়েছে।
বাবুকে আটকের পর তার বড় ভাই কাজী গিয়াস আহমেদ বলেন, চরমপন্থি সংগঠন জনযুদ্ধ (লাল পতাকা) প্রধান ডা. মিজানুর রহমান টুটুল আমাদের মামাতো ভাই। শিমুলের বোনকে বিয়ে করেছিলেন ডা. টুটুল। টুটুল শাহীনের আপন চাচাতো ভাই। সেই সূত্রে শিমুল, শাহীন উভয়ই আমাদের আত্মীয়।
ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট