রাষ্ট্রপতি শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় কর্তৃক বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশে ‘বিশ্ব শিশুশ্রম প্রতিরোধ দিবস’ পালনের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, শিশুরাই জাতির ভবিষ্যৎ।উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে হলে শিশুর সার্বিক কল্যাণ নিশ্চিত করে তাদের সুযোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার বিকল্প নেই।
তিনি বলেন, শিশুশ্রম একটি বৈশ্বিক সমস্যা। শিশুশ্রম শিশুর স্বাভাবিক শৈশব ও পারিবারিক জীবন ক্ষতিগ্রস্ত করার পাশাপাশি তাদের সঠিক মানসিক ও শারীরিক বিকাশ এবং শিক্ষা প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করে। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার টার্গেট ৮ দশমিক ৭-এর অধীনে ২০২৫ সালের মধ্যে সব ধরনের শিশুশ্রম বন্ধের বিষয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে প্রথাগত শিশুশ্রম নির্মূলের পাশাপাশি জোরপূর্বক শ্রম, আধুনিক দাসপ্রথা ও মানবপাচার, শিশুদেরকে সৈনিক হিসেবে ব্যবহারসহ নিকৃষ্ট শিশুশ্রমগুলো নিষিদ্ধ ও নির্মূলে এখনই কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য- ‘শিশুশ্রম বন্ধ করি, প্রতিশ্রুতি রক্ষা করি’ যথার্থ ও সময়োপযোগী হয়েছে বলে মনে করেন রাষ্ট্রপতি।
মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, সরকার দেশ থেকে সব ধরনের শিশুশ্রম নির্মূল করতে বদ্ধপরিকর। এ লক্ষ্য অর্জনে ইতিমধ্যে ‘জাতীয় শিশুশ্রম নিরসন নীতি, ২০১০’ ও জাতীয় কর্মপরিকল্পনা ২০২১-২০২৫ প্রণয়ন করা হয়েছে।শিশুশ্রম নির্মূলে জাতীয় থেকে উপজেলা পর্যায় পর্যন্ত চার স্তরবিশিষ্ট প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো প্রস্তুত করা হয়।
তিনি বলেন, শিশুদের শ্রমসাধ্য কাজে ব্যবহার থেকে বিরত রাখতে দারিদ্র্য বিমোচন, বাধ্যতামূলক ও অবৈতনিক মানসম্পন্ন শিক্ষা, সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতা বৃদ্ধিসহ জনগণের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে বহুমুখী কার্যক্রম গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
রাষ্ট্রপতি ‘বিশ্ব শিশুশ্রম প্রতিরোধ দিবস-২০২৪’ উপলক্ষে গৃহীত সব কার্যক্রমের সাফল্য কামনা করেন।